সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির (Kulpi) নিশ্চিন্তপুরে যুবকের রহস্যমৃত্যু। প্রায় একসপ্তাহ দেখা না পাওয়ার পর ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের পচাগলা দেহ। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচশো টাকার নোট।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছত্রিশের ওই যুবকের নাম সুমিত বেরা। নিশ্চিন্তপুরে মামার বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। নিশ্চিন্তপুর বাজারে তাঁর একটি হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে। সুমিতের বাবা-মা থাকেন ডায়মন্ড হারবারের ধনবেড়িয়ায়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই যুবককে তাঁরা ঘরে ঢুকতে বা ঘর থেকে বের হতে দেখেননি। তবে তাঁর মোটরসাইকেলটি বাড়িতেই ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুমিতেক সম্পর্ক সম্পর্ক খুব একটা ভাল না থাকায় বিষয়টি নিয়ে মাথাও ঘামাননি কেউ। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই প্রতিবেশীরা সুমিতের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
[আরও পড়ুন: ২ বছর ধরে বেপাত্তা, ভাইফোঁটার সকালে যুবককে বোনের কাছে ফিরিয়ে দিল হ্যাম রেডিও]
ঘরের দরজা ভিতর থেকেই ছিল বন্ধ। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ঘরে ঢুকতেই চক্ষুচড়ক গাছ। দেখতে পান মেঝেয় পড়ে রয়েছে যুবকের পচাগলা দেহ। পাশে কয়েকটি পাঁচশো টাকার নোট। ঘরে জ্বলছিল আলো, চলছিল টেবিল ফ্যানটিও। সঙ্গে সঙ্গে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে সুমিতের বাবা জানান, ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তাই ছেলে আলাদাই থাকত। তবে আচমকাই ছেলের এই মৃত্যুতে তিনি কিছুটা হতভম্ব।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে এটি কোনও খুন বা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। দিনকয়েক আগেই হয়তো ঘরের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই যুবকের মৃত্যু হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে না। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে যুবকের এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।