সুমন করাতি, হুগলি: রাতে যুবককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সকালে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল হুগলির বলাগড়ে (Balagarh)। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের পরিবার ও পরিজনরা। ব্যাপক ভাঙচুর চলে বলাগড় থানায়। ভাঙা হয় সিসি ক্যামেরা, চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কর্নার। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। তবে কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের, তা এখনও রহস্য।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শেখ আসাদুল মণ্ডল। শুক্রবার স্টেশনে বলাগড় স্টেশনের পাশে মেলে যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিষয়টা জানাজানি হতেই বলাগড় থানায় জড়ো হন মৃতের পরিবার ও পরিজনরা। কারণ, আসাদুলের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে যুবককে তুলে নিয়ে যায় বলাগড় থানার পুলিশ। একথা নাকি মেসেজ করে জামাইবাবুকে জানিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু কেন, তা নিয়ে কিছু খোলসা করেননি তিনি। এরপর রাতভর বাড়ি ফেরেননি আসাদুল। এদিকে পরিবারের তরফে দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় যুবকের সঙ্গে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সকাল হতেই মেলে দেহ। পরিবারের দাবি, আসাদুলের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশ। সেই কারণেই থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তাঁরা।
এবিষয়ে পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে ওই যুবককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতেই বেল বন্ডে সই করিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর কীভাবে যুবকের মৃত্যু তা জানা নেই। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করা হবে। তাতেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।
