অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রোগিনী। চিকিৎসার বদলে তাঁকে সপাটে চড় মারলেন চিকিৎসক! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। ঘটনা জানাজানি হতে ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা ক্ষোভপ্রকাশ করেন। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই রোগিনীর নাম মৌ মণ্ডল, বাড়ি শিলিগুড়ি এলাকাতেই। রোগীনির পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মৌ মণ্ডল নামে এক মহিলাকে। তাঁকে হাসপাতালের অবজারভেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডেকে জানানো হয়, তাঁর কিছুই হয়নি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়।
যদিও মৌ মণ্ডলকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে ফের হাসপাতাল চত্বরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফের দ্রুত তাঁকে অবজারভেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, ওই রোগিনীকে চিকিৎসক সপাটে চড় মারেন। পরে ওই মহিলা অবজারভেশন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পরিবারের লোকজনদের ঘটনার কথা জানান। এরপরেই ক্ষোভ ছড়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। অসুস্থ বলেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাহলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কীভাবে এই কাজ করতে পারেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল চত্বরেই চলতে থাকে তুমুল বিক্ষোভ। দেখা দেয় উত্তেজনা।
রোগীর ভাই গোপাল মণ্ডল বলেন, "গালে দাগ স্পষ্ট। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভর্তি করানো হয়েছিল। এটা কী ধরনের চিকিৎসা, কী ধরনের ব্যবহার? রোগীকে বলছেন, তিনি নাটক করছেন কিনা।" যদিও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তার বলেন, "এটা লাইন অব ট্রিটমেন্ট।" তাঁর সাফাই, "রোগী সাইকোলজিকাল সমস্যা নিয়ে এখানে আসে। অনেক সময় বিভিন্ন প্রেশার পয়েন্টে প্রেসার দিলে রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যান। সবাইকে যদি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, তাহলে জরুরি বিভাগে আমরা রয়েছি কেন? যার যেটা দরকার সেই চিকিৎসাই তাঁকে দেওয়া হবে।"
