সুমন করাতি, হুগলি: বোনের বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েও, সেখানে যাননি। গোটা রাত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে একটি পুরনো বন্ধ বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃতার নাম রীনা সাঁতরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবায়। খুন নাকি আত্মহত্যা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগটু গ্রামের বাসিন্দা রীনা সাঁতরা। বছর ৪২-এর ওই মহিলার স্বামীর আগেই মারা গিয়েছিলেন। তাঁর এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে নাবালক। ছেলেকে নিয়েও বাড়িতে থাকতেন তিনি। গতকাল, বৃহস্পতিবার দুপুরে হারিট গ্রামে বোনের বাড়ি যাবেন নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রীনা। সুগন্ধা বাগপাড়া মোড় এলাকা থেকে মাকে একটি ট্রেকারে তুলে দিয়েছিল বছর ১৫-এর ওই নাবালক ছেলে। কিছু সময় পরেই রীনারা তাঁর বোনের বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা।
সেই মতো নাবালক ছেলে ঘণ্টাখানেক পরে মাসতুতো দাদাকে ফোন করে জানতে পারে, মা সেখানে যায়নি। এরপরই শুরু হয় ওই মহিলাকে খোঁজা। বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাতেই সুগন্ধার পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটনার কথা জানানো হয়। আজ, শনিবার সকালেও তাঁর খোঁজ করতে থাকেন পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, ছেলেকে নিয়ে এখন রীনা সাঁতরা চকগটু গ্রামের পুরনো বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি বাড়ি তৈরি করেই থাকছিলেন। তাঁর কিছু জমিজমাও আছে। গ্রামের পুরনো বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থাতেই থাকে। এদিন সকালে ওই পুরনো বাড়িতে তাঁকে খোঁজার জন্য যান পরিবারের সদস্যরা। সেই বাড়িতেই উদ্ধার হয় মহিলার ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ ঝুলতে দেখা যায়। সংসারে এখনও কোনও অভাব ছিল না বলে খবর। তিনি কি আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি খুন করা হয়েছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
