অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: জীবিত মায়ের জাল মৃত্যু শংসাপত্র বার করে পেনপশনের টাকা লুটের অভিযোগ তুলে নেওয়ার অভিযোগ ছোট ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মাকে মারধর, ধাক্কা মেরে উঁচু থেকে ফেলে পা ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। হাই কোর্টের নির্দেশে অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ, তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
লিলুয়ার চকপাড়ার বাসিন্দা বীণাপানি দাস। বয়স ৭৮ বছর। বৃদ্ধার স্বামী ক্ষীরোদচন্দ্র দাস কাস্টমের চাকরি করতেন। ১৯৯৬ সালে অবসর নেন। বছর সাতেক আগে তিনি মারা যান। পেনশনের টাকা জমা হচ্ছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে ডিফিন্সে চাকরি করেন। থাকেন হায়দরাবাদে। অন্যদিকে ছোট ছেলে তপনকুমার দাস পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ভারত সরকারের ট্যাঁকশালে কাজ করেন।
২০১৮ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর সেই অ্যাকাউন্ট বীণাপাণিদেবীর নামে চালু হয়। তাঁর অভিযোগ, বড় ছেলে বাড়িতে না থাকায় ছোট ছেলে তপন সব দেখাশোনা করতেন। অভিযোগ সেই সুযোগ নিয়ে তপন ব্যাঙ্কে বাবার মৃত্যুর সঙ্গে মায়ের মৃত্যুর জাল নথি জমা দিয়ে পেনশন বন্ধ করে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমে থাকা সব টাকা তিনি তুলে নেন।
এই ঘটনা জানার পর লিলুয়া থানায় ছোট ছেলে তপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় জানান, বীণাপানিদেবী। মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই খবর পাওয়ার পর, ছেলের কঠোর শাস্তির আবেদন করেছেন বৃদ্ধা। তিনি বলেন, "ছেলে আমাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। মারধর, অত্যাচার করত। ওর কঠোর শাস্তি চাই।" সঙ্গে বদ্ধার দাবি, তিনি জীবিত তা প্রমাণিত, সরকার ফের তাঁর পেনশন চালু করুক।
