সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মেয়ে হওয়ায় জন্মের পর ছেড়ে গিয়েছেন মা-বাবা। পাশে মেলেনি পরিবারের অন্যান্যদেরও। জন্মের কয়েকদিন পর থেকেই ঘটনাচক্রে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কোলই আস্তানা হয়েছিল তিন খুদের। কিন্তু দীর্ঘদিন তো হাসপাতালে থাকা সম্ভব নয়। অগত্যা বর্ধমানের হাসপাতালের তরফে ওই তিন শিশুকন্যাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ১৪ আগষ্ট কন্যাশ্রী দিবসেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুগুলিকে।
[আরও পড়ুন:‘জয় শ্রীরাম’ ইস্যুতে এবার বিক্ষোভ ওয়াইসির দলের, শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখায় রেল অবরোধ]
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি শিশুকেই জন্মের পর বাবা-মা ফেলে দিয়েছিল। ঘটনাচক্রে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই তিন শিশুর একজনকে। তারপর থেকে সে হাসপাতালেই রয়েছে। আর একটি শিশুকে ভরতি করা হয়েছিল গত ১০ মে। আর একজন যায় ১৩ মে। এরপর হাসপাতালে রেখেই তাদের চিকিৎসা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠেছে তারা। বিভিন্নভাবে হাসপাতালের তরফে চেষ্টা করেও কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে। ফলে সুস্থ হওয়ার পর এবার নিয়ম মেনে সেই তিন শিশুকন্যাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা জানান, এমন প্রচুর ঘটনা ঘটে৷ মেয়ে হওয়ায় জন্মের পর অনেক সময় বাবা-মায়েরা সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যায়। আর আসে না। তখন নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ের পর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ খোঁজ চালিয়েও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হদিশ মেলে না বাবা-মায়েদের। তাদের সকলকে শেষ পর্যন্ত নিয়ম মেনে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে ওই শিশুদের হস্তান্তর করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে দিল্লি পর্যন্ত মিছিল হবে’, সদস্য সংগ্রহ অভিযানে মন্তব্য ভারতীর]
The post মেয়ে হওয়ায় বাবা-মার চক্ষুশূল ৩ খুদে, হাসপাতালই ঠিকানা একরত্তিদের appeared first on Sangbad Pratidin.
