সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ভিডিও কলে কথা হয়েছিল বিকেলে। জানিয়েছিলেন কাজ মিটিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে আসবেন। কথা রাখতে পারলেন না পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুলের বাসিন্দা সফিক কাজি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে শোকে পাথর তাঁর পরিজনেরা।

পেট বড় বালাই। তাই পেটের তাগিদে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন সফিক কাজি। বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী ও বছর পাঁচেকের সন্তান। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে যাচ্ছিলেন ভিনরাজ্যে। সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়েই যাচ্ছিলেন গন্তব্যে। ওই ট্রেনে চড়েই শেষবার ভিডিও কল করেছিলেন সফিক। কথা হয়েছিল স্ত্রীর সঙ্গে। তারপরই বিপত্তি। সন্ধেবেলায় যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মেরে মালগাড়ির উপরে ওঠে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident)। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি। মুহূর্তেই সব শেষ। মৃত্যু সফিকের।
[আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের বাঁচাতে রক্তদান স্থানীয়দের, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা স্ট্যালিনেরও]
বাড়িতে ফোন করেন সফিকের সঙ্গী। তিনিই জানান দুঃসংবাদ। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শোকে পাথর সফিকের বাবা। তিনি জানান, যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে সফিক যাচ্ছিলেন তিনি ফোনে মৃত্যুসংবাদ জানান। মা-ও যেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ নিয়ে কোনও কথাই বলতে পারছেন না। প্রতিক্রিয়া দিতে ভুলে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। কীভাবে সংসার চলবে, কেমন করে যে সন্তানকে বড় করে তুলবেন তিনি, তা ভেবে দিশাহারা
বছর পঁচিশের সফিক কাজির স্ত্রী। আপাতত দেহ ফেরার অপেক্ষায় গোটা পরিবার।
দেখুন ভিডিও: