সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বৃহস্পতিবার দেখতে হয়েছিল ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ প্ল্যাকার্ড। আর শুক্রবার প্রচারে এসে শুনতে হল গো ব্যাক স্লোগান। এমনকী দেখতে হল কালো পতাকাও। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ বিধানসভা এলাকায় প্রচারে এসে বারবারই অস্বস্তির মুখে পড়ছেন। তৃণমূলের এই বিদায়ী সাংসদকে গত ৫ বছরে এই এলাকার উন্নয়নে কোনওদিনই দেখা যায়নি। তারই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এইভাবেই ঘটছে বলে দাবি করছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা।
[ আরও পড়ুন: ‘আমি এখনও গায়ক,পুরোপুরি নেতা হতে পারিনি’, স্বীকারোক্তি বাবুল সুপ্রিয়র]
শুক্রবার খণ্ডঘোষের কৈয়র পঞ্চায়েতের তোড়কোণা গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন সৌমিত্র। কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হেঁটে প্রচার করতে করতে তিনি যান তোড়কোণা বাজারে। সেখানেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে সৌমিত্র খাঁকে কালো পতাকা দেখান তৃণমূল কর্মীরা। গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলেও স্লোগান ওঠে। ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায় ওই এলাকায়। তবে, পুলিশ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়নি। তৃণমূল কর্মীদের কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন, “আসলে এখন তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা বিজেপিকে সব থেকে বেশি ভয় পাচ্ছে। চাপে পরে কালো পতাকা দেখালেও প্রকৃত অর্থে ওরা আমায় বলতে চাইলো দাদা আমি তোমার পাশে আছি। তোমাকে স্বাগত জানাই।’’ বিজেপি প্রার্থীর অনুমান এবার বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে৷ আর সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলেই তিনি জয়ী হবেন।
[ আরও পড়ুন: কটূক্তি বাদ দিয়ে উন্নয়নের নিরিখে হোক ভোট, প্রচারে ফের সৌজন্য বার্তা দেবের]
খণ্ডঘোষের তৃণমূল নেতা শ্যামল দত্ত বলেন, “আমাদের নেত্রী বুঝতে পারেননি সৌমিত্র খাঁ আসলে একজন গদ্দার। দিদির কৃপায় ২০১৪ সালে জিতে সাংসদ হয়ে সৌমিত্র খাঁ ৫ বছরে একদিনও বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তর স্মৃতি বিজরিত তোড়কোণা গ্রামে পা রাখেননি। উন্নয়নের টাকাও তিনি খরচ করেননি। তাই আমরা তাঁর বিরোধিতা করছি।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের আরও দাবি, এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি সৌমিত্র। তারপর আবার এখন বিজেপির টিকিটে লড়তে ভোট চাইতে এসেছেন। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন সৌমিত্রর বিরুদ্ধে। তাই এইভাবেই বিরোধিতা করছেন বাসিন্দারা।
The post কালো পতাকা-গো ব্যাক স্লোগান, প্রচারে বেরিয়ে অস্বস্তিতে সৌমিত্র খাঁ appeared first on Sangbad Pratidin.
