সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বেকায়দায় বিমল গুরুং। এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকে গুরুগ্রাম থেকে জালে তুলল সিআইডি। রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারদের হাত থেকে অবশ্য এ যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।
[এবার নিজের দলেই নজরদারির মুখে মুকুল রায়]
সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে শুক্রবার সিআইডি আচমকা হানা দেয় গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৬ এলাকায়। ওই এলাকায় রোশন গিরি এবং একাধিক মোর্চা নেতা উপস্থিত ছিল বলে তদন্তকারীদের কাছে খবর ছিল। তবে একটুর জন্য সিআইডির জাল কেটে বেরিয়ে যায় মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। সেখানে থেকেই ডি কে প্রধান, পি টি ওলা এবং তিলক চাঁদ রোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রাতেই তাদের কলকাতায় আনা হচ্ছে। শনিবার তিনজনকে তোলা হবে শিলিগুড়ির আদালতে। পাহাড়ের রাজনীতিতে তিন নেতাই বিমল গুরুংয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। ডি কে প্রধান দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান। পি টি ওলা ঘুম জোড়বাংলো এলাকার প্রাক্তন সভাসদ এবং তিলক চন্দ্র রোকা জিএমসিসির কো-অর্ডিনেটর। দার্জিলিংয়ে অশান্তির মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের শরণাপন্ন হয়েছিল মোর্চা নেতারা। দু-দিন আগের ওই বৈঠকে রোশন গিরির সঙ্গে ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া দুই নেতা। এই বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে মামলা চলছে তার সঙ্গে কেন রাজনাথ সিং বৈঠক করেছেন তা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল।
[এই কাজটি করলেই সরকারি কর্মীরা পাবেন টানা ১৬ দিনের ছুটি!]
কয়েক দিন আগে রাজ্যের অভিযানে সিকিমে একটুর জন্য পুলিশের হাতছাড়া হয়েছিলেন বিমল গুরুং। মোর্চা সুপ্রিমোর মতো ইউএপিএ মামলা ঝুলছে রোশন গিরির বিরুদ্ধেও। দুজনেই কার্যত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাহাড়ের তিন প্রথম সারির নেতা ধরা পড়ে যাওয়ায় দার্জিলিংয়ে আরও নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ল মোর্চা।
