নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কনেযাত্রী গিয়েছেন পাঁচজন বেশি। সেটাই যে এত বড় গন্ডগোলের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, কেউ ভাবতেই পারেননি। কিন্তু মাত্র ৫ জন অতিরিক্ত অতিথি দেখেই মাথা গরম হয়ে গেল বরপক্ষের। অভিযোগ, কনেপক্ষের তরফে আসা লোকেদের বেধড়ক মারধর (Beaten) করা হয়েছে। আক্রান্ত স্বয়ং কনেও! আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভরতি সিউড়ি (Suri) হাসপাতালে। অন্যদিকে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বউভাতের দিনে বর-সহ বরপক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার করল দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

শনিবার দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের মুসলিম মতে বিয়ে (Marriage) হয়। রবিবার বউভাত খেতে শিমুলডিহি থেকে ৩০ জন কনেযাত্রী যায় গুনসিমা গ্রামে। কিন্তু ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তে ৫ জন বেশি অতিথি নিয়ে যাওয়ায় বচসা শুরু হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: নদিয়ায় চরমে তৃণমূল বিধায়ক ও নেত্রীর কোন্দল, অশান্তিতে ‘ভণ্ডুল’ ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা]
বরপক্ষের দাবি, ৫ জন বেশি আসায় তাঁদের খাবারে (Food) ঘাটতি পড়েছে। একদিকে খেতে না দেওয়া, অন্যদিকে বেশি কনেযাত্রী আনায় তাঁদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটে। সুরিয়ার ভাই আবুল হোসেনের অভিযোগ, ”বরপক্ষ আমাদের লাঠি-বাঁশ দিয়ে আচমকা মারতে শুরু করে। মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি কিল,ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। আকিলা বিবি, মনিরা বিবি ও শামসুরনিহার বিবির শাড়ি ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তাদের পরনের কাপড় জড়িয়ে প্রাণে মারার চেষ্টাও হয়।”
[আরও পড়ুন: শান্ত বাঘ! ক্ষেতের কাজে ব্যস্ত কৃষকের পাশ দিয়ে নিঃশব্দে হেঁটে গেল দক্ষিণরায়]
এসবের জেরে জখম হন কনেও (Bride)। তাঁকে ও কনেপক্ষের লোকজনকে দুবরাজপুর মানসায়র হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সদাইপুর ও দুবরাজপুর থানার পুলিশ গুনসিমা গ্রামে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে বর শেখ আতিকুল, তার বাবা শেখ কালো, শেখ শাকির ও শেখ বাদশাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত বাকি পাঁচজন পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।