সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) বগটুই গ্রামে স্বজনহারাদের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে সামনে পেয়ে কেঁদে ফেললেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। জ্ঞান হারালেন এক প্রৌঢ়। ঠিক অভিভাবকের মতো প্রৌঢ়ের মাথায় জল দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।
রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যাবেন তিনি। কথা বলবেন স্বজনহারাদের পরিবারের সঙ্গে। সেই মতো এদিন বেলা ১২ নাগাদ ডুমুরজলা থেকে বিমানে রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। রামপুরহাটে নেমে সেখান থেকে সড়ক পথে অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে বগটুই গ্রামে পৌঁছন মমতা। ‘দিদি’কে কাছে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন মিহিলাল থেকে শুরু করে বগটুই গ্রামের বাসিন্দারা। ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেদিনের বিবরণ দেন সকলে।
[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু আর একটা নন্দীগ্রাম করতে চেয়েছিলেন’, বগটুই কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ]
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক গ্রামবাসী। সঙ্গে সঙ্গে নিজে হাতে তাঁর মাথায় জল দেন মমতা। তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপরও বেশ কিছুক্ষণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার ছোঁয়ায় মুহূর্তেই অনেকটা শান্ত হয়ে যায় বগটুই। ওই গ্রামে দাঁড়িয়েই গোটা ঘটনায় তদন্তকারীদের কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আশ্বাস দেন স্বজনহারাদের পাশে থাকার। ঘটনাস্থল থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির জন্য প্রথমে ১ লক্ষ টাকা করে দেন। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২ লক্ষ করেন। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয় আরও ৫ লক্ষ টাকা। চাকরির আশ্বাসও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে রামপুরহাটে (Rampurhat Clash) বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরই সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।