অর্ণব দাস, বারাসত: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর জের। মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছির (Bamangachi) যুগল। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। কেটে নেওয়া হয় চুল। পরে পুলিশ উদ্ধার করে যুগলকে। এই ঘটনায় যুবকের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বহু আগে। জানা গিযেছে, আক্রান্ত যুবকের নাম বিশ্বনাথ সাহা। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার বামনগাছি এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি কোনও কর্তব্যই পালন করতেন না। অভিযোগ, এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁর পিছনে টাকাও খরচ করতেন। কিন্তু বাড়িতে টাকা পয়সা দিতেন না। তা নিয়ে দীর্ঘদিন অশান্তিও হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এরপরই বিশ্বনাথের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে হাতেনাতে ধরার ছক কষে।
[আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি’, মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাকে কেন আচমকা ফোন?]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় এলাকাতেই প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বিশ্বনাথকে ধরে ফেলেন শাশুড়ি ও স্থানীয়রা। এরপরই যুগলের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। বেধড়ক মারধর করা হয় বিশ্বনাথ ও তাঁর প্রেমিকাকে। কেটে নেওয়া হয় চুল। শোনা গিয়েছে, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তাঁদের উপর চলে অত্যাচার। বাধা দেওয়া হলেও থামেনি উত্তেজিত জনতা।
এরপর এলাকার এক যুবক খবর দেয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে যুগলকে উদ্ধার করে তাঁরা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়ার অভিযোগে ওই যুবককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। এভাবে আইন নিজের হাতে নেওয়া অন্যায়। অভিযুক্তদের শাস্তি হবে।” এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আক্রান্ত যুবক বরাবরই এরকম। কোনওদিনই স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি কোনও দায়িত্বপালন করেন না তিনি।
