সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: সামনের মাসেই নির্বাচন, তার আগে বেতন বৃদ্ধির আশায় মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হাওড়া জেলায় ১৫৭টি পঞ্চায়েতে কর্মরত ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। তাদের দাবি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরে সমপদে আসীন কর্মীদের সমতুল্য বেতন দেওয়া হোক তাদের।

[ বিবেচনায় আগেকার ভোটে অশান্তি? রাজ্যে ৭ দফায় ভোট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]
সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিযুক্ত রয়েছেন। ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ও কম্পিউটারে ডিপ্লোমা পাশ প্রার্থীদের পঞ্চায়েত স্তরে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র কমিশনের ভিত্তিতে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অন্তর্গত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের। সূত্রের খবর, চুক্তিভিত্তিক এইসব কর্মীদের ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচের হিসাব নথিভূক্ত করতে হয়। কিন্তু একটি তথ্য বা ডেটা কম্পিউটারে তোলার জন্য মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ পয়সা পেতেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের কথা ভেবে ২০১৫ সালে এই পদে আসীন সমস্ত কর্মীদের মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিকের পাশাপাশি ইনসেন্টিভ চালু করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে এইসব কর্মীদের ইনসেন্টিভ তুলে দিয়ে পারিশ্রমিক এক লাফে সাড়ে সাত হাজার টাকা করা হয়। এই কর্মীদের পদের নাম পরিবর্তন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের পরিবর্তে তাঁদেরকে ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রেনর (ভিএলই) করা হয়েছিল। বর্তমানে এমজিএনআরইজিএ-র কাজ ছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের রিপোর্ট, নির্বাচন সংক্রান্ত রিপোর্ট, আইএসজিপিপি ইত্যাদি সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলির খুঁটিনাটি তথ্য তাঁদেরকে কম্পিউটারে নথিভূক্ত করতে হয়।
[মায়ের বকুনিতে অভিমানে ঘরছাড়া, অবশেষে বাড়ি ফিরল কিশোরী ]
পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সোসাইটির হাওড়া জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর ফৌজদার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতাতেই তাঁদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই টাকায় বর্তমানে সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে। ফলে তাঁরা চান রাজ্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরে নিযুক্ত ডেটা এন্ট্রি কর্মীদের সমান বেতন দেওয়া হোক।
The post বেতন বৃদ্ধির আশায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা appeared first on Sangbad Pratidin.