বাবুল হক, মালদহ: দূরপাল্লার ট্রেন থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহে। বুধবার গভীর রাতে ডাউন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরা থেকে বছর পঞ্চাশের এক মহিলার মৃতদেহটি দেখতে পান অন্যান্য যাত্রীরা। খবর দেওয়া হয় জিআরপি-তে। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে আজ সকালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে রেল পুলিশ। ট্রেনের কামরায় এভাবে মহিলার মৃতদেহ দেখে কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মালদহে জিআরপি-র আইসি ভাস্কর প্রধান জানিয়েছেন, “মহিলার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে পরিচয়পত্র মিলেছে। তাঁর নাম কৃষ্ণা দে চৌধুরি, বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। লেকটাউনের বাসিন্দা।তিনি নিউ জলপাইগুড়ি যাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ট্রেনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ বোঝা যাবে।”
[আরও পড়ুন: স্কুলের মাঠ দখল করে বসল বিয়ের আসর, বন্ধ খুদে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন]
তবে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে, যার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরাও। ওই মহিলা কি একাই ট্রেনে ছিলেন? অসুস্থই ছিলেন, নাকি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন? সেক্ষেত্রে তিনি কি কারও সাহায্য চাননি? প্রত্যক্ষদর্শীদের কারও কারও মতে, ওই মহিলা রাত থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় কামরায় ওভাবে পড়ে ছিলেন। যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে কেনই বা সেই দৃশ্য অন্য যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করল না? এই প্রশ্নও উঠছে। মৃত কৃষ্ণা দে চৌধুরির লেকটাউনের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে বলে রেল পুলিশ সূত্রে খবর।
এর আগেও চলন্ত ট্রেনের শৌচাগার থেকে সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের ঘটনা নজর কেড়েছিল। এবার যাত্রী মৃত্যুর ঘটনা। যাত্রীরা কেউ কেউ মনে করছেন, চলন্ত ট্রেনের মধ্যে খুনও হতে পারেন কৃষ্ণাদেবী। আর সেই অনুমান থেকেই ফের দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন। যাত্রার জন্য ট্রেন ভাড়া-সহ অন্যান্য পরিষেবার জন্য খরচের বহর বেড়েই চলেছে। অথচ নিরাপত্তাবৃ্দ্ধির নামমাত্র নেই বলে তাঁদের অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: বলাগড়ে নাবালিকাকে খুন করে মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচার, আদালতে দোষী সাব্যস্ত দুই]
The post মালদহে ট্রেনের কামরায় উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা appeared first on Sangbad Pratidin.
