নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় কার্যত ঘরে ঘরে ডেঙ্গু। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বনগাঁর গোবরডাঙা এলাকার বাসিন্দা মানস বিশ্বাসের পরিবারের ৩ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে এখন হাসপাতালই যেন তাঁর ঘর হয়ে উঠেছে। এখন শুধু অপেক্ষা পরিবারের সদস্যদের সুস্থ করে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। শুধু তিনিই নন, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: সমকামী সম্পর্ক নাকি ত্রিকোণ প্রেম? দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য জুনপুটে]
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার খাটুরা এলাকার বাসিন্দা মানস বিশ্বাস। ডেঙ্গুর জেরে বনগাঁ হাসপাতালই এখন তাঁর অস্থায়ী ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগে মানসবাবুর শ্বশুরের রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এর দু’দিনের মাথায় প্রবল জ্বর নিয়ে মেয়ে স্মৃতিকণাকে হাসপাতালে ভরতি করেন মানসবাবু। ডেঙ্গু ধরা পড়ে তারও। এরপর শুক্রবার থেকে জ্বরে আক্রান্ত মানসবাবুর মা বছর ষাটের দীপালিদেবী। বর্তমানে তিনিও বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে শেষ কয়েকদিনে সকাল থেকেই হাসপাতালেই ঠাঁই হয়েছে তাঁর।
মানসবাবুর অভিযোগ, “ডেঙ্গু সচেতনতা ও প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন আগে ব্যবস্থা নিলে হয়তো এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকায় মশা মারার তেল, ব্লিচিং ইত্যাদি ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর আর এসব দিয়ে কী লাভ?”
[আরও পড়ুন: পণের দাবিতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, চাঞ্চল্য মথুরাপুরে]
এ বিষয়ে মহকুমা শাসক ডঃ কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, গত তিন বছর ধরে ডেঙ্গু সচেতনতা ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে সচেতনতার প্রচার চলেছে। তবে শুধুমাত্র প্রশাসন নয়, সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে। তিনি বলেন, বাগদা ব্লকের কনিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানন্দ পাড়া থেকে গত ১০ই জুলাই থেকে জিরো ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মসূচি চালু করা হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে। যা কাজেও লেগেছে বলেই দাবি তাঁর। তিনি জানান, কয়েকদিনের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২-এ।
The post ডেঙ্গু আক্রান্ত পরিবারের একাধিক সদস্য, প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.
