shono
Advertisement

নোটিস ছাড়াই চা বাগানের ঝাঁপ বন্ধ, অনিশ্চিত ১২০০ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ

শ্রমিকদের দাবি মানা সম্ভব নয়: বাগান কর্তৃপক্ষ। The post নোটিস ছাড়াই চা বাগানের ঝাঁপ বন্ধ, অনিশ্চিত ১২০০ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:28 PM Mar 04, 2019Updated: 03:28 PM Mar 04, 2019

শান্তনু কর ও অরূপ বসাক:  বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের দেবপাড়া চা বাগান। দীর্ঘদিন ধরেই কাজের সময়সীমা ও বকেয়া নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অশান্তি চলছিল শ্রমিকদের। দুপক্ষের টানাপোড়েনে এর আগেও একাধিকবার চা বাগান বন্ধের মতো পরিস্থিতি হয়েছিল।  এবার পাকাপাকিভাবে কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ১২০০ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ।

Advertisement

[জীবিত মামিকে ‘মৃত’ দেখিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ]

জানা গিয়েছে, শীতের মরসুম শেষে চা বাগানে পুনরায় কাজ শুরু করেছিলেন শ্রমিকরা। ইদানিং অর্ধদিবস কাজ করছিলেন তাঁরা। বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মার্চের পয়লা তারিখ থেকে শ্রমিকদের দু’বেলা কাজ করতে হবে। শ্রমিকেরা তাতে রাজি হননি। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি-সহ অন্যান্য যে সব সুযোগসুবিধা বাগান কর্তৃপক্ষ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, তা মেটানো হয়নি। এই নিয়ে  দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকদের সঙ্গে বাগান কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন চলছিল। সমাধানে মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও বসেন শ্রমিকরা । কিন্তু তাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।

এরপর সোমবার সকালে কাজে গিয়ে  গেটে বাগান বন্ধের নোটিস দেখেন শ্রমিকরা। এরপরই বাগানের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। মিনতি খেরওয়ার, সুষমা দর্জি, পুষ্মনী দর্জি, পার্বতী ওঁরাওয়ের মতো বাগান কর্মীরা অভিযোগ করেন, ন্যায্য অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে বাগান কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলে সমস্যার  মুখে পড়তে হয়, এমনটাই অভিযোগ জানান শ্রমিকরা। বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ১২০০ শ্রমিক। 

[বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে মিলবে নগদ পুরস্কার]

এবিষয়ে চা বাগানের মালিক গোষ্ঠীর সংগঠন ডিবিআইটি-এর সম্পাদক সুমন্ত গুহঠাকুরতা বলেন, ওই বাগানে গত এক বছরে প্রায় ৪৩ টাকা মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন সেই অনুপাতে কিছুই বাড়ে নি। উলটে উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। অর্ধদিবসের বদলে সারাবছর পূর্ণ দিবস কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও ইতিবাচক ফল হয়নি। ইতিমধ্যেই কাঁচা পাতাও এসে গিয়েছে বাগানে। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও শ্রমিকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। এমতাবস্থায় বাগান বন্ধ করা  ছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকগোষ্ঠীর সম্পাদক। কিন্তু আগাম নোটিস ছাড়া বাগান এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। 

The post নোটিস ছাড়াই চা বাগানের ঝাঁপ বন্ধ, অনিশ্চিত ১২০০ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement