শেখর চন্দ্র, আসানসোল: সিবিআই বিচারকের প্রশ্নের মুখে বিড়ম্বনায় ইডি। গরু পাচার মামলা আসানসোল থেকে দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ কোর্টে নিয়ে যেতে চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শনিবার আসানসোল সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল। আর সেখানেই বিচারকের প্রশ্নবাণের সামনে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ইডির আইনজীবী।
শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ইডি’র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র, অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ ও সায়গলের আইনজীবী শেখর কুন্ডু। উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য ও তাঁদের আইনজীবী রাকেশ কুমার। বিচারক শুনানির শুরুতেই রাজেশ চক্রবর্তী ও সুশান্ত ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চান এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় কতগুলো চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে? উত্তরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানান- একটি চার্জশিট ও চারটি সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। আরও চার্জশিট জমা হবে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরের হাল ধরবেন বুদ্ধ! অন্তর্বর্তী উপাচার্যের নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে]
বিচারক: কতজন স্বাক্ষী রয়েছেন ?
সুশান্ত ভট্টাচার্য: প্রায় পাঁচশো।
এরপরেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রকে প্রশ্ন করেন, এই মামলাটি আপনারা তদন্ত করছেন কোন অধিকারে? কেন্দ্রীয় সরকার কি আপনাদের কোনও ক্ষমতা দিয়েছে? যদি দেয় তাহলে কাগজ দেখান। আপনারাই কেন? NIA বা অন্য কোনও সংস্থা নয় কেন? ব্যাখ্যা করুন। এই মামলার অধিকাংশটাই এখানে (সিবিআই আদালতে), তাহলে কী করে আপনারা নিজেদের ইচ্ছেমতো কোর্টে মামলা নিয়ে যেতে চাইছেন কেন? তাও আবার ৫০০ সাক্ষীকে সঙ্গে করে! এতে বিচার হবে না, দ্রুত ট্রায়ালও হবে না। ইডি কি এভাবে সুয়োমোটো করে অন্য এজেন্সির মামলাকে অন্য কোনও আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে পারে?
[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে কী ঘটেছিল যাদবপুরের হস্টেলে? জানতে লালবাজারে ডেকে ধৃতদের জেরায় খোদ কমিশনার]
বিচারকের এই প্রশ্নবাণের কাছে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ইডির আইনজীবী । তিনি বিচারকের কাছে নানা উদাহরণ টানেন। কিন্তু বিচারক সন্তুষ্ট হননি। শেষপর্যন্ত ইডির আইনজীবী উপযুক্ত তথ্য নিয়ে আসার জন্য অনুমতি চান। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ সেপ্টেম্বর।
