সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: একেবারে দিনের আলোতে গৃহস্থের বাড়ির উঠোনে রাজকীয় মেজাজে ঘুরল একটি দাঁতাল। ঘোরাফেরা করতে গিয়েই ভাঙল গৃহস্থের অ্যাসবেসটাসের চাল। দরজা ভেঙে চালের বস্তা নিয়ে চলল টানাটানি। আর এই ঘটনার পর থেকেই গোটা গ্রামজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামে জামবনির পড়শুলি গ্রামে।
শুক্রবার একটি হাতি পড়শুলি গ্রামে ঢুকে খগেন্দ্রনাথ মাহাতর বাড়ির একেবারে সামনে গিয়ে বেশ কয়েকটি অ্যাসবেসটাসের চাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। বাড়িতে মজুত থাকা বেশ কয়েকটি ধানের বস্তা টেনে বের করে খাওয়া শুরু করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতিটিকে তাড়া করলে পাশের জঙ্গলে গিয়ে প্রবেশ করে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, পড়শুলি এলাকায় একটি স্থায়ী হাতি রয়েছে। অন্যদিকে লালবাঁধ, বালিবাঁধ ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় দশ-পনেরোটি দলমা হাতি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নৈহাটিতে আরডিএক্স বিস্ফোরণ হয়েছে’, দাবি রাহুল সিনহার]
পড়শুলি গ্রামের খগেন্দ্রনাথ মাহাত যদিও হাতিহানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, “দিনের আলোয় হাতি গ্রামে ঢুকে আমার বাড়িতে এসে দরজা ভেঙে ধান খাওয়ার চেষ্টা করছিল। কয়েকটি ধানের বস্তা টেনে বের করে খেয়েছে। এখন খুবই আতঙ্কে রয়েছি। আবার যদি হাতিটি ফিরে এসে বাকি ধানগুলিও খেয়ে শেষ করে তাহলে আমার কী হবে? হাতিটি খুব বেশি দূর যায়নি।” জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, রূপনারায়ণপুর ও খড়গপুর বনবিভাগের মধ্যে সারাবছর ধরেই হাতি তাণ্ডব চালায়। এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের ডিএফও বাসব রাজ হোলচ্চি বলেন, ” খাবারের সন্ধানে একটি হাতি গ্রামে ঢুকেছিল। ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কিছু হাতি রয়েছে। হাতিগুলির উপর নজর রেখেছে বনকর্মীরা। যে ব্যক্তির ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে উনি নির্দিষ্ট নিয়মানুয়ায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।”
দেখুন ভিডিও:
ছবি: প্রতীম মৈত্র
The post খাবারের খোঁজে গৃহস্থের উঠোনে হানা, চালের বস্তা লুট গজরাজের appeared first on Sangbad Pratidin.
