সৌরভ মাজি, বর্ধমান: অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের পর, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন রোগী। কিন্তু, রবিবার সকালে আচমকাই শৌচাগারে পড়ে যান বছর আঠাশের ওই তরুণ। তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বর্ধমানের শহরের একটি নার্সিংহোম ভাঙচুর চালালেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। ঘন্টা তিনেক অবরোধ চলল জিটি রোডে। মারমুখী জনতার হাত থেকে বাঁচতে নার্সিংহোমে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান চিকিৎসক ও নার্সরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। রোগীদের অন্য নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
[বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ, গ্রেপ্তার সিভিক ভলানটিয়ার]
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণের নাম সুমিত কুমার ঠাকুর। বাড়ি বর্ধমান শহরের নতুনগঞ্জ-দিঘিরপুল এলাকায়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সকালে কেশবগঞ্জ-চটি এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভরতি হন সুমিত। ওইদিনই তাঁর অ্যাপেডিক্স অপারেশন হয়। অপারেশনের পর ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন বছর আটাশের ওই তরুণী। অভিযোগ, রবিরার সকালে একা একা নার্সিংহোমের শৌচাগারে যেতে গিয়ে পড়ে যান সুমিত। সংজ্ঞাহীন অবস্থা তাঁকে তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা সুমিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকেরা। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তুলে জিটি রোডে অবরোধ শুরু করেন তিনি। নার্সিংহোমে তুমুল ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান পালিয়ে যান চিকিৎসক ও নার্সরা।
[চুরি করতে এসে ভোটার কার্ড ফেলে উধাও, পুলিশের জালে চোর]
রোগীর পরিবারের লোকেদের অবরোধে ঘন্টা তিনেক অবরুদ্ধ থাকে জিটি রোড। শেষপর্যন্ত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। কোনওমতে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে জিটি রোডে অবরোধমুক্ত করা হয়। নার্সিংহোমে ভাঙচুর ঠেকাতে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশি হস্তক্ষেপে তালা খুলে নার্সিংহোমের রোগীদের পাশের অন্য একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
[জঙ্গলে কারা দিচ্ছে আগুন? হাতির চিৎকারে অস্থির এলাকাবাসী ]
ছবি ও ভিডিও: মুখলেসুর রহমান
The post বর্ধমানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর, জিটি রোডে অবরোধ appeared first on Sangbad Pratidin.
