shono
Advertisement
Bongaon

হাড়হিম ঘটনা, ইট দিয়ে থেঁতলে ছেলেকে 'খুন' নেশাগ্রস্ত বাবার!

পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
Published By: Suhrid DasPosted: 01:29 PM Feb 01, 2025Updated: 01:37 PM Feb 01, 2025

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে নেশাগ্রস্ত বাবা 'খুন' করলেন সন্তানকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। মৃতের নাম আশিস বিশ্বাস (৩০)। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লী পার্কিং এলাকায় ওই পরিবারের বাস। অভিযুক্ত অমল বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই নেশা করেন। তেমন কোনও কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন না। পরিবারের সঙ্গে প্রায়শই টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা করতেন। নেশা করার জন্য জোর করে টাকাও নিতেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার বেলা থেকে ফের ওই পরিবারে ঝামেলা শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বাড়িতেই ছিলেন তাঁদের একমাত্র সন্তান আশিস। তাঁর সঙ্গেও বাবার ঝামেলা হয়।

পরে সেই বিবাদ মিটে যায়। স্ত্রী দীপালি বিশ্বাস বিকেলের পর কিছু কাজের জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন বছর ৩০-এর আশিস। সন্ধেবেলা নেশাগ্রস্ত বাবা বাড়িতে এসে ঘুমন্ত ছেলের মাথায় ইট দিয়ে একাধিকবার আঘাত করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানাতেই পড়ে থাকেন ছেলে। ওই মহিলা সন্ধের পর বাড়ি ফিরে ওই ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা আশিসকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

রাতে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই ওই তরুণ মারা যান বলে খবর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই ব্যক্তিকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় গাঁজা, মদ, হেরোইনের অবাধ বিক্রি হয়। বহুবার অভিযোগ করেও সেই নেশার সামগ্রী বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। এলাকার বহু পরিবারে এই নেশার কারণে প্রায়শই ঝামেলা হয়। কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই বিষয়ে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অভিযুক্ত অমল বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই নেশা করেন।
  • তেমন কোনও কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন না।
  • পরিবারের সঙ্গে প্রায়শই টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা করতেন।
Advertisement