সুমন করাতি, হুগলি: ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসি বাংলায়। মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বিমান থেকে নামেন। তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য বিমানবন্দরে উপচে পড়েছে ভক্ত, অনুরাগীদের ভিড়। আজ, শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনও কানায় কানায় ভরে যাবে বলে খবর। মেসির জন্য বিশেষ চমক হুগলির রিষড়ার ফেলু মোদকেরও। ফুটবলের রাজপুত্রের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ নলেন গুড়ের সন্দেশ। ওই সন্দেশ আদপে মেসিরই মূর্তি।
আর্জেন্টিনা ফুটবল টিমে ১০ নম্বর জার্সি পরে মেসি মাঠে নামেন। পায়ের যাদুতে বিপক্ষে পরাস্ত করে জালে জড়ান ফুটবল। গোটা বিশ্ব মেসির এক-একটি অনবদ্য গোল দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই মিষ্টি। আর্জেন্টিনা বিখ্যাত নীল-সাদা জার্সি রয়েছে এই মূর্তির গায়ে। মূর্তির সামনে রয়েছে ফুটবল। সবুজ গালিচার উপর রয়েছে এই মূর্তি। এক মুহূর্তে দেখলে মনে হতেই পারে, যেন মেসি ম্যাজিক শুরু হওয়ার অপেক্ষা।
হুগলির রিষড়ার ফেলু মোদকের মিষ্টির সুনাম বহু যুগ ধরে। বিভিন্ন সময় বিখ্যাত মানুষদের উপহার দেওয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠান মিষ্টি বানায়। এবার কলকাতায় মেসি হাজির। তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে এই ছোট্ট উপহার। এই মিষ্টির ওজন সাড়ে চার কেজি। নলেন গুড় ছাড়াও মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ছানার সন্দেশ, ক্ষীর, কেশর, পেস্তা-সহ আরও বেশ কিছু উপকরণ। এখানে মেসি নীল-সাদা জার্সিতে রয়েছেন। কিন্তু এই নীল রং বানানো হল কীভাবে? ফেলু মোদকের বর্তমান কর্ণধার অমিতাভ দে জানিয়েছেন, ওই নীল রং তৈরি করা হয়েছে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি থেকে। এই মিষ্টির স্মারক মূর্তি তৈরি কতটা বিশেষ? কর্ণধার অমিতাভ দে জানান, এই মিষ্টি তৈরি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টি তৈরি করতে বেশ কিছুটা সময়ও লেগেছে। মেসি কলকাতায় নেমে বাইপাসের উপর একটি হোটেল থাকছেন। সেখানেই ওই মূর্তি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও নলেন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা, রাবড়ি পাঠানো হয়েছে স্বাদগ্রহণের জন্য।
অমিতাভ দে নিজেও গোটা বিষয়টিতে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় বহু কিংবদন্তির জন্য মিষ্টি বানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। পেলে, মারাদোনা কলকাতায় এলে তাঁদেরও এই প্রতিষ্ঠানের মিষ্টি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এবার মেসির জন্যও এই উপহার পাঠানো হয়েছে।
