সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাইমারির টেটে এবার চাকরি পেলেন মিস্টার ‘ওয়াই’। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই বলছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় হালহদিশ জানা যায় এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আর সেই সাইটেই সফল প্রার্থীর তথ্যাবলীতে দেখাচ্ছে, ০৭০০৬৪৭৯৬ রোল নম্বরের ‘Y’ নামক প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। আর তাতেই বেঁধেছে গোল। এই ভূতুড়ে প্রার্থীর অস্তিত্ব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর তাতেই ফের বিতর্কে প্রাথমিকের টেটে নিয়োগ পদ্ধতি। প্রশ্ন উঠেছে, এটি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি, নাকি এর মধ্যেও রয়েছে কোনও কেলেঙ্কারির গন্ধ?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকে শুরু করে ফলপ্রকাশ, এমনকী কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। ৪২,৩০০ নিয়োগপত্র বিলি হয়েছে সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। কিন্তু সফল প্রার্থীদের কাছে এসএমএসে নিয়োগের খবর পাঠানোয় তৈরি হয় নয়া বিতর্কের। অনেকেই অভিযোগ করেন, পর্ষদের এমন পদক্ষেপে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হতে পারে। একটি মামলার সাপেক্ষে কলকাতা হাই কোর্ট পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রাজ্য জুড়ে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে সফল প্রার্থীদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। জেলায় জেলায় কাউন্সেলিংয়ের সময় গন্ডগোল বাধে। তার মধ্যে এবার নয়া বিতর্ক, ভূতুড়ে প্রার্থী। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে ওই ০৭০০৬৪৭৯৬ রোল নম্বর এবং মিস্টার ‘Y’-এর নাম। এবার প্রশ্ন, কারও নাম Y হতে পারে কি? আর যদি হয় তবে তাঁর পদবি নেই কেন? উত্তর নেই কোনও।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তাই যদি হবে, তাহলে তা শুধরে নেওয়া হল না কেন? পর্ষদ জানিয়েছে, প্যানেলে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা উপযুক্ত নথি দেখিয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন। ওয়েবসাইটে নাম দেখালেও নথি দেখিয়ে তবেই মিলবে চাকরি। পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, এটা ভুয়ো ওয়েবসাইট হতে পারে। প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
