শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জল এখানে যন্ত্রণা। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে আর্শীবাদও। টানা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ভেসেছে জলপাইগুড়ির বিবেকানন্দ পল্লি। জল কিছুটা নামতে শুরু করায় মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন উৎসাহীরা। আপাত নিরুত্তাপ মৎস্য অভিযানে রং ছড়াল সোমবারের সকাল। দৈত্যাকার একটি আড় মাছ ধরা পড়ায় তুমুল কৌতুহল জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ওই এলাকায়। বিশালাকার মাছ অবশ্য বিক্রি নয়, নিজেরাই খাবেন গ্রামবাসীরা।
[যোগীর রাজ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’, শিব সেনার কোপে বিজেপি]
সকাল থেকে মেলা লোক। যারা এতদিন বিবেকানন্দ পল্লির খোঁজও নিত না তারাই জল পেরিয়ে সেখানে পৌঁছেছে। হইহই ব্যাপার। পাঁচ, দশ কেজি নয় একত্রিশ কেজি মাছ ধরা পড়েছে। সবার মুখে একটাই কথা, কী বলছেন বাপু! চক্ষু কর্ণের বিবাদ মেটাতে যারা বিবেকানন্দ পল্লিতে পৌঁছেছেন তারাও দেখে হাঁ। সুবল রায়, পরিমল বিশ্বাসদের জালে ধরা পড়েছে দৈত্যাকার আড় মাছ। গত সপ্তাহে তোর্সার জল ঢুকেছিল ওই গ্রামে। শনিবার থেকে জল কিছুটা নামতে অনেকেই জাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। আনাড়ি হাতেও কেউ কেউ বসে পড়েছেন নদীর পারে। যদি কপাল খোলে। সুবলরাও জাল পেতেছিলেন। সোমবার সকালে এতবড় আড় মাছ সেই ফাঁদে পা দেওয়ায় বিস্ময় যাচ্ছে না এলাকার প্রবীণ মৎস্যজীবীদের। আড় তিস্তা নদীতে মাঝেমধ্যেই মেলে। তবে সেগুলো তেমন বড় নয়। মৎস্যপ্রাপ্তিতে বিবেকানন্দ পল্লি জুড়ে শোরগোল। পরিমলদের বক্তব্য, তারা ভেবেছিলেন ছোট মাছ হয়তো ধরা পড়বে। এত বড় মাছ যে এভাবে ধরা দেবে তা কল্পনা করতে পারেননি।
[পানামা কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে বিগ বি!]
বানের জলে এলাকার বাসিন্দারা উঁচু জায়গায় থাকছিলেন। ত্রাণ শিবিরে একঘেয়ে কুমড়োর ঘ্যাঁট, ডাল খেয়ে জিভ চালসে পড়ে গিয়েছিল জলবন্দিদের। আড় মাছ ধরা পড়ায় তাদের আনন্দের শেষ নেই। জমিয়ে এখন ভোজের তোড়জোড় পাণ্ডব বর্জিত গ্রামে।
The post বানের জলে ভেসে এল ৩১ কেজির মাছ, জমিয়ে ভোজ জলপাইগুড়িতে appeared first on Sangbad Pratidin.
