সুমন করাতি, হুগলি: বলাগড়ের রাজনীতিতে কী আসতে চলেছে রদবদল? দলের বড় সভায় আমন্ত্রণ নেই বিধায়কের। তবে কি প্রার্থী বদল হবে আসন্ন নির্বাচনে? হুগলিজুড়ে (Hooghly) শাসকদলের অন্দরেই এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। এর মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। শুভেন্দু অধিকারীর সভার পাল্টা বলাগড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা হয়। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। দলের এত বড় কর্মসূচিতে বর্তমান বিধায়কের অনুপস্থিতি কি শুধুই 'ভুল'? নাকি এর পিছনে রয়েছে বড় কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে হুগলিতে (Hooghly)।
নিজেই ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। পোস্টে তাঁর দাবি, আগে থেকে জানানো হলে সরকারি কমিটির সফর বাতিল করেও সভায় পৌঁছনোর চেষ্টা করতেন। অথচ তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। এই পোস্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, বলাগড়ের সংগঠনের একটি অংশ হয়ত তাঁকে দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়ককে এভাবে সরিয়ে করে রাখা নিছক কাকতালীয় হতে পারে না। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এবার হয়ত বলাগড় থেকে প্রার্থী করতে চাইছে না দল। অনেকের মতে, নতুন মুখ তুলে ধরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সভায় জেলার 'বড়' নেতাদের উপস্থিতি থাকলেও স্থানীয় বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি দলের অন্দরে সমন্বয়ের ঘাটতি। পাশাপাশি, এই ঘটনায় দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও, নিজের পোস্টে সভার প্রশংসা করে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন বিধায়ক।
