রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সমুদ্রে স্নান করতে নেমে ফের তলিয়ে মৃত্যু হল এক পর্যটকের। মৃত পর্যটক হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা দীপু সেনাপতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার খানাকুল থেকে বাস নিয়ে ৪০জনের একটি দল দিঘায় পৌঁছায়। আজ সকালে তাঁরা সবাই নিউ দিঘার কাছে সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। কিন্তু আচমকাই বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি ঢেউয়ের ধাক্কায় অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েন। আশেপাশেই ছিলেন নুলিয়ারা। ডুবে যেতে দেখে তাঁরা ছুটে যান। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফে তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখনও তাঁর প্রাণ ছিল বলে দাবি আত্মীয়দের। হাসপাতালে অবশ্য চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
[ আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ছে বিজেপির সদস্য সংখ্যা, মহুয়ার গড়ে চিন্তায় তৃণমূল]
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত ব্যক্তির নাম দীপু সেনাপতি। স্নান করতে নেমে টাল সামলাতে না পেরে জলে ডুবে যান এবং তাঁর পেটে বেশ খানিকটা জল ঢুকে যায়। তিনি মৃগী রোগী ছিলেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, ভয় পেয়ে হৃদঘাত বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দীপু সেনাপতির। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সোমবার বিকেলে দিঘা বেড়াতে যাওয়া ৪০জনের দলে ছিলেন দীপুর স্ত্রী মিতা। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে প্রাথমিক শোক কাটিয়ে তিনি জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকালেই পর্যটক দলের অনেকেই স্নান করতে যান সমুদ্রে। মিতাদেবী নিজে সমুদ্রে স্নান করা নিয়ে উত্তেজিত ছিলেন। তিনি খুব দ্রুত সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যান। সঙ্গে ছিল মোবাইলও। তাঁকে পিছন থেকে বেশ কয়েকবার ডাকেন অন্য সঙ্গীরা। কিন্তু সেই ডাক উপেক্ষা করেই সমুদ্রে নেমে যান মিতা। আচমকা বড় ঢেউ এসে পড়ে। তার ধাক্কায় টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান তিনি। দীপু তখনই ছুটে যান স্ত্রীর কাছে। তাঁকে তীরের দিকে টেনে নিয়ে আসেন। কিন্তু পরের ঢেউতেই তিনি নিজে ভেসে অনেকটা দূরে চলে যান। নুলিয়ারা সমুদ্রে নেমে তাঁকে উদ্ধার করেন। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। বেড়াতে যাওয়ার পরদিনই এমন একটি ঘটনা একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছেন না সঙ্গীরা। এই মুহূর্তে তাঁরা সকলেই দিঘায় রয়েছেন। খবর পাঠানো হয়েছে দীপুর খানাকুলের বাড়িতে।
[ আরও পড়ুন: এবার থেকে ছবি-লোগো লাগালেই মিলবে ‘বাংলার বাড়ি’র পুরো টাকা]
The post স্ত্রীকে বাঁচিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় মৃত্যু স্বামীর, দিঘার সমুদ্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা appeared first on Sangbad Pratidin.
