অরূপ বসাক,মালবাজার: মিড ডে মিলের খাবারের মান নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। যেখানে রান্না করা হয় সেখানেও অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। তাই এবার মিড ডে মিলের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য মাল পৌর এলাকার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান ভারত সরকারের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের আধিকারিক অমিত হিমাংশু মিঞ্জ। নিয়ম মেনে মাল অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়ে মাল মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরিদর্শন শুরু করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে খাবার তৈরির পদ্ধতি ও পরিবেশ খতিয়ে দেখেন আধিকারিক। সেই সঙ্গে এদিনের খাবারের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। মিশন প্রাথমিক নামের এক স্কুলের রান্নাঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় একপ্রকার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ নজরে আসে তাঁর। তবে মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শনে গিয়ে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক । সেখানেও রান্না ঘর থেকে কন্টেনারে করে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে হয়। পরবর্তীতে মাল সুভাষিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন আধিকারিক অমিত হিমাংশু।
যদিও সুভাষিনীর মিড ডে মিলের রান্না ঘরের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নন অমিত হিমাংশু। রান্না ঘরের দেওয়ালের সিমেন্ট খসে পড়ছে। আয়তনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের সেখানকার রান্নাঘরও তুলনায় বেশ ছোটো। যে বারান্দায় বসে পড়ুয়াদের মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা হয় সেই স্থানটি ছোট থাকায় দু'বারে খেতে বসতে হয় ছাত্রীরা। ওই স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা সেখানে ১২২। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামিনীমোহন রায় বলেন, বেশ কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো মেরামত করা খুবই জরুরী, তবে পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় সেই কাজ করানো যাচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার সমস্ত ব্লক ও শহরে এই খাবারের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এদিন মালবাজার শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহের কাজ হল। সংগ্রহ করা নমুনা শিলিগুড়ির রিজিওনাল ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এই পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে অন্তত এক মাস। ফুড সেফটি অফিসার অমিত হিমাংশু মিঞ্জ বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট হাতে এলে সেটা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মিড-ডে মিলের গুণগত মান যাচাই করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।