সৌরভ মাজি, বর্ধমান: গরুর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বিদ্বজ্জনদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে বসলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষিত বুদ্ধিমান লোকেরা কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খায়। আর কুকুরের মাংস খাও শরীর ভাল থাকবে। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাও কেন, নিজের বাড়িতে খাও, কে বারণ করেছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার বর্ধমান টাউন হলে ঘোষ ও গাভী কল্যাণ সমিতির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেখানেই গরু নিয়ে দীর্ঘ এক বক্তৃতায় নানা দিক তুলে ধরলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘ভারতীয় গরুর বৈশিষ্ট্য, তার দুধের মধ্যে সোনার ভাগ থাকে। তার জন্য দুধের রং একটু হলদেটে হয়। আমাদের দেশের গরুর যে কুঁজ থাকে, তা বিদেশি গরুর মধ্যে থাকে না। তাদের পিঠটা সমান, মোষের মতো। গরুর কুঁজের মধ্যে একটা নাড়ি থাকে তাকে স্বর্ণনাড়ি বলে। সেখানে সূর্যের আলো পড়লে সোনা তৈরি হয়। সেই জন্য গরুর দুধ হলদে হয়, সোনালি হয়। সেই গরুর দুধের মধ্যে প্রতিষেধক ক্ষমতা থাকে।’
এরপরই বুদ্ধিজীবীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, গরুর মাংস না খেয়ে কুকুরের মাংস খেতে। এতে তাঁদের শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁর কথায়, ‘বহু লোক বহু কিছু খায় আমরা আপত্তি করি না। কিন্তু যে গরুকে আমরা মা বলি, মায়ের দুধ ছাড়লে গরুর দুধ খেয়ে বেঁচে থাকি, যার মা মারা যায় সেও গরুর দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। আমরা মা-ই বলব তাকে। সেই চোখে আমরা দেখব। কিন্তু আমার প্রতি কেউ খারাপ আচরণ করলে তাকে কীভাবে দেখব।’
[আরও পড়ুন: গরুর নাড়িতে সোনা! এ কী বললেন দিলীপ ঘোষ?]
ওইদিনই রায়নার সেহারাবাজার ও বর্ধমানের টাউন হলে শিক্ষক সংগঠনের সভায় দিলীপ ঘোষ আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি এদিন বলেন, ‘ভাল পুলিশ অফিসাররা কাজ করতে পারছেন না। পুলিশ অফিসারদের টাকা তুলতে হয়, তা যায় কালীঘাটে। খড়গপুরে ২০১৬ সালে জিতেছি, ২০১৯ সালে জিতেছি, উপনির্বাচনেও জিতব। কে কত মায়ের দুধ খেয়েছে দেখে নেব।’ বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল। আসবে তৃণমূলের ইচ্ছায় কিন্তু ফিরতে হবে আমাদের ইচ্ছা। এলে খাটিয়ায় চড়ে বাড়ি যেতে হবে। কারও দম থাকলে এসো খড়্গপুরে, তবে এলআইসি করিয়ে আসবে।’
The post ‘কুকুরের মাংস খান শরীর ভাল থাকবে’, বিদ্বজ্জনদের আক্রমণ দিলীপ ঘোষের appeared first on Sangbad Pratidin.
