সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে উসকানির অভিযোগ। এবার গ্রেপ্তার ISF নেত্রী। শনিবার রাতে মিনাখাঁর মঠবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। আয়েশা বিবিকে রবিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এর আগে সন্দেশখালি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহও। আর তার পরই সন্দেশখালি কাণ্ডের ৫১ দিনের মাথায় উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার আইএসএফ নেত্রী আয়েশা বিবি। বিরোধীদের দাবি, যে আসল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। অথচ ঘটনার মোড় ঘোরাতে আইএসএফ নেত্রীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাতুড়ে ডাক্তার থেকে জমি ‘লুটেরা’ শাহজাহানের ভাই সিরাজ, ‘তৃণমূলের কেউ নন’, দাবি পার্থ-সুজিতের]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি হানা দেয় ইডি। তৃণমূল নেতার দেখা মেলেনি। বাড়িতে তল্লাশিও করতে পারেননি আধিকারিকরা। হামলার শিকার হন তাঁরা। অভিযোগ, শাহজাহানের নির্দেশেই হামলার শিকার হন তাঁরা। তার পর থেকেই ফাঁকা সাম্রাজ্য। ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। দফায় দফায় জ্বলছে সন্দেশখালির একের পর এক গ্রাম। প্রায় দেড় মাস ধরে ‘ফেরার’ সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা। মামলার জল গড়িয়েছে আদালতেও। কেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’কে ধরতে পারছে না পুলিশ, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন। যদিও রাজ্য পুলিশের ডিজি সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন, ইডি কেন গ্রেপ্তার করছে না শাহজাহানকে? ডিজির আরও দাবি, আদালতের কারণেই পুলিশ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। কারণ, ইডির সওয়ালেই আদালত রাজ্য পুলিশের এফআইআরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রায় একই দাবি করেন। তাঁর দাবি, আদালত হাত-পা বেঁধে না রাখলে মাত্র ১০ দিনেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে পারত পুলিশ।