দেব গোস্বামী, বোলপুর: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়ালেন আরেক মার্কিনি নোবেলজয়ী। অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটজ। বিশ্বভারতী সঙ্গে অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’র বিবাদ এখনও অব্যাহত। সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ‘জমি কব্জাকারী’ এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সর্বত্র নিন্দার শিকার হন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷
এমনকী ‘ভারতরত্ন’ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’র ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করার উচ্ছেদ নোটিস দিতেও দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিভাগের আধিকারিকদের৷ যদিও বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অমর্ত্য সেন। এখন বর্তমানে এই জমি সংক্রান্ত মামলা সিউড়ি আদালতে বিচারাধীন।
[আরও পড়ুন: খিদে সহ্য করতে না পেরে মিষ্টি খাওয়ার ‘শাস্তি’, নাবালিকার পিঠে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা, গ্রেপ্তার কাকিমা]
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক কার্যকলাপ ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বুধবার ইমেল মারফত চিঠি লেখেন মার্কিন নোবেলজয়ী জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটজ। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বারবার প্রকাশ্যে হেনস্তা করছেন। এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত লজ্জার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হিসাবে আপনি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করুন।”
এর আগেও বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অসহিষ্ণু মনোভাবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দেশ-বিদেশের অন্তত তিনশোরও বেশি বিশিষ্টজন। মার্কিন অর্থনীতিবিদ ছাড়াও যারা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অলিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, এলবামা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশ বিদেশের আরও প্রথিতযশা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট অধ্যাপকরা, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, ঠাকুরের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ স্থানীয় মানুষজন ও বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-প্রাক্তনীরা।
জোসেফ ইউজিন স্টিগলিটজের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বুধবার চিঠি লিখেছেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমিয়কুমার বাগচী। উপাচার্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে। বিশ্বের শিক্ষাক্ষেত্রে এই চিঠি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। যদিও রাষ্ট্রপতির চিঠি প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
