সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহারের কড়া নিন্দা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া, বারাসত, দেগঙ্গায় অশান্তি রুখতে ব্যর্থ প্রশাসন। এই আবহে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর প্রতি মুখ্যন্ত্রীর এই আচরণ যে অনভিপ্রেত, সে কথাই বৃহস্পতিবার স্মরণ করালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা প্রয়োগ করছে আমি তার কড়া নিন্দা করছি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে হতাশা থেকে তিনি এই রকম আচরণ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ ছিলেন। সংবিধানের মর্যাদা করতে জানেন।” বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, “আমার সবচেয়ে খারাপ লাগছে যে রাজ্যপালের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন শাসক দলের এক মন্ত্রী, যাঁর বিরুদ্ধে চিটফাণ্ড দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং খুব শীঘ্রই তাঁর দলের অন্যান্য বন্ধুদের মতোই তাঁরও জেলে যাওয়া নিশ্চিত। এমন একজন ব্যক্তি কীভাবে রাজ্যপালের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারেন?”
[রাজ্যপাল মোদি বাহিনীরই সৈনিক, রাহুলের মন্তব্যে বিতর্কে ঘি]
তবে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুর সিনহা রাজ্যপাল সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তাঁর সঙ্গে একমত নন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিন সকালে রেড রোডে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করে রাহুল সিনহা মন্তব্য করেন, “রাজ্যপাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুগত সৈনিক। এই প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল সংবিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ, রাজনৈতিক দিক থেকে নিরপেক্ষ একজন মানুষ। তাঁর সম্পর্কে রাহুল সিনহা কী বলেছেন আমি জানি না। তবে এই ধরনের মন্তব্য করে থাকলে আমি সহমত নই।”
[দাঙ্গা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই শান্তিবাহিনী]
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরও অভিযোগ করেন, “গত একমাস ধরে দার্জিলিংয়ে অশান্তি চলছে। অথচ, রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া, বারাসত, বসিরহাটে অশান্তি হচ্ছে। সেখানেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। অভিযুক্তদের না ধরে আক্রান্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।” এমনকী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকেও ঠিক ভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। দক্ষ পুলিশ আধিকারিকদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে না, অভিযোগ বিজেপির। ধুলাগড়ের ক্ষেত্রেও প্রশাসনের একই গাফিলতি চোখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজয়বর্গীয়র। রাজ্যের যে পুলিশ আধিকারিকরা এই পরিস্থিতি সামলাতে ভাল কাজ করেন, তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
#TMC कार्यकर्ताओं की गुंडागर्दी को मूक-दर्शक बन देख रहे…
ये पुलिस हैं या TMC के कार्यकर्ता???#SaveBengal pic.twitter.com/KROxg1mg2e— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) July 6, 2017
The post বাদুড়িয়া, দেগঙ্গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন, তোপ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র appeared first on Sangbad Pratidin.
