সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম : জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল ঝাড়গ্রামের একটি ক্লাব। মূলত শীতের মরশুমে জঙ্গলে আগুন যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার জেরে প্রায় বিপন্ন বন্য প্রাণীরা। বিঘ্নিত হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যও, নষ্ট হচ্ছে বনাঞ্চল। অগ্নিকাণ্ডের জেরে সাপ- পাখি-খরগোশ সহ বিভিন্ন প্রাণী বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। চলে আসছে লোকালয়ে। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু হচ্ছে সেই সব প্রাণীদের। এরই প্রতিবাদে সোমবার মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল ঝাড়গ্রামের একটি ক্লাব।
[স্টেথোস্কোপের বদলে হাতে তুলাযন্ত্র, গবেষণায় ব্যস্ত চিকিৎসক]
গত কয়েক বছরে ঝাড়গ্রামে জঙ্গলগুলোর ঘনত্ব বেড়েছে, পশু পাখিদের জন্য জল ও খাদ্য সংস্থানও রয়েছে ভরপুর। তবে শীতের মরশুমে জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নষ্ট হচ্ছে গাছপালা । একই সঙ্গে আশ্রয় হারাচ্ছে পশু-পাখিরা। সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জঙ্গলের শুকনো পাতায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে চোরা পাচারকারীরা। অভিযোগ, কখনও আবার জঙ্গলের বড় গাছগুলির নিচেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বনের ভিতর ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একদিকে নষ্ট হচ্ছে অরণ্য। যার ফলে বিঘ্নিত হয় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য । জঙ্গল রক্ষাটয় পুলিশের তরফে ব্যাপকভাবে নজরদারি চালানো সত্ত্বেও আটকানো যাচ্ছে না অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
[নোটিস ছাড়াই চা বাগানের ঝাঁপ বন্ধ, অনিশ্চিত ১২০০ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ]
জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রতিবাদেই সোমবার পথে নামে ঝাড়গ্রামের কদমকানন এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যরা। গোটা বিষয়টি জানিয়ে তাঁরা মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায়ের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। মহকুমা শাসক বলেছেন, “বিষয়টি আমাদের নজরেও পড়েছে, দ্রুত পুলিশকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এবিষয়ে ব্যাপক ভাবে প্রচার চালানো হবে।” ক্লাবের সম্পাদক প্রান্তীক মৈত্র বলেন, মহকুমা শাসকের কাছে আমরা গোটা ঘটনা জানিয়েছি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশাসন কড়া হাতে বিষয়টির উপর নজরদারি চালালেও এই ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব বলে আশাবাদী স্থানীয়রাও।
The post ঝাড়গ্রামে জঙ্গলে আগুন, মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন স্থানীয়দের appeared first on Sangbad Pratidin.
