ধান কাটা, সাঁতার শেখা শৈশবে! বীরভূমের জনসভায় মামারবাড়ির স্মৃতিতে কাতর মমতা

04:02 PM May 05, 2024 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলার স্মৃতি সততই সুখের। আজকের ব্যস্ত জীবনে কয়েক মুহূর্তের ফুরসৎও মেলে না সেসব স্মৃতির পাতা একবার উলটে দেখার। যাঁর দায়িত্ব যত বেশি, তাঁর স্মৃতিকাতর হওয়ার সময় তত কম। তারই মাঝে ব্যতিক্রম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূমের লাভপুরে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে সহসা শৈশবে ফিরে গেলেন তিনি। কাছেই কুসুম্বা গ্রাম, নেত্রীর মামারবাড়ি। সেখানে কীভাবে তাঁর ছোটবেলা কাটিয়েছেন, জনসভা থেকে তার সবটা বললেন।

Advertisement

সাত দফায় লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মাঝে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী সভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গ শেষ। বৈশাখের প্রবল খরতাপে দক্ষিণবঙ্গে ঘুরে ঘুরে প্রচার নেহাৎ কম পরিশ্রমের নয়। তার উপর লাগাতার বিরোধীদের আক্রমণ আর দলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ভোটভিক্ষা, তাও যথেষ্ট একঘেয়ে। হয়ত তাই বীরভূমের লাভপুরে জনসভা করতে গিয়ে শৈশবের স্মৃতি তাঁকে পিছু ডাক দিল। তিনিও সাড়া দিলেন সেই ডাকে। বোলপুর (Bolpur)লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে সভার শুরুতে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, কুসুম্বা গ্রামের মামারবাড়িতে কাটানো দিনগুলির কথা শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: আচমকা ‘বেঁচে’ উঠল মৃত কিশোর! কাটোয়া হাসপাতালে ধুন্ধুমার]

তৃণমূল (TMC) নেত্রীর কথায়, ''কুসুম্বা গ্রামে আমি জন্মেছি। তার পর কলকাতায় চলে গেছিলাম। ছোটবেলায় পরীক্ষা শেষ হলেই আমরা মামারবাড়ি চলে আসতাম। একমাস ধরে থাকতাম। কখনও গ্রামে ঘুরে বেড়াতাম, সাঁতার কাটতাম, ধান কাটতাম, গাছে চড়তাম। এগুলো তো সব ছোটবেলায় শেখা, আজকের শেখা নয়। সবাই তো বলে আমি কী করে এসব করি? আমি তো সবই শিখেছি। অনেকে বলে, রান্না করা কী আর এমন বড় ব্যাপার? আমি বলি, রান্না খুব বড় কাজ। ধরুন, রান্নায় নুন দিলেন না, কেমন হবে খেতে? অথবা চিনি দিয়ে দিলেন, মাছের ঝোলটা কেমন খেতে লাগবে? সুতরাং, ভালো করে রান্না করার মধ্যে একটা শিল্প আছে।'' এর পর তিনি বলেন, ''আমি কখনও চাকাইপুর যাইনি। এটা কিন্তু খুব খারাপ। চাকাইপুর আমার পৈতৃক ভিটে। আমি ঠিক করেছি, এবার কুসুম্বা গেলে চাকাইপুর গ্রামটা ঘুরে আসব। ওখানে আমাদের দেবোত্তর সম্পত্তি ছিল। কিন্তু আমার বাবা সেসব নেননি। ওখানে আমাদের জ্যাঠামশাইয়ের ছেলেমেয়েরা আছে, তাঁরাই সব দেখেন।''

[আরও পড়ুন: ‘লজ্জা হওয়া উচিত’, শ্লীলতাহানি ইস্যুতে রাজ্যপালকে CCTV ফুটেজ চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]

এদিন বেশ কিছু রান্নার কথাও শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবেত জনতাকে জিজ্ঞাসা করলেন পুংকা শাকের কথা। জানতে চাইলেন, ওই শাক এখনও পাওয়া যায় কিনা। তাঁর কথায়, ''ওই শাকটা কি এখনও এখানে পাওয়া যায়? পাট শাকের মতো খেতে পুংকা শাক, রসুন দিয়ে ভেজে খেতে হয়? খুব ভালো খেতে। মাছের ঝাল-টক, পোস্তর বড়া, আলুপোস্ত - এসব বীরভূমের একেকটা উপাদান।'' এমনিতে মুখ্যমন্ত্রী খাদ্যরসিক হলেও স্বল্পাহারী। তবে খাওয়াতে ভালোবাসেন। এনিয়ে আলোচনাতেও বেশ আগ্রহ তাঁর। এদিন বীরভূমের সভা থেকে বাংলার জনপ্রিয় সব রেসিপি নিয়ে তাঁর কথাতেই ফের তা টের পাওয়া গেল।

Advertisement