সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশ ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। উত্তরপ্রদেশ বিশৃঙ্খলার অজুহাত দেখিয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির দায় দিয়েছে পাঞ্জাব। হরিয়ানা সিবিএফসিকে শিখণ্ডীর মতো ব্যবহার করিয়েছে ছবি মুক্তির মাঝে। কিন্তু মুক্তমঞ্চে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘পদ্মাবতী’কে স্বাগত জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, অন্য রাজ্য যদি ছবি মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছবির টিম নিশ্চিন্তে বাংলায় চলে আসতে পারে। এখানে ছবি মুক্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ক্রীড়া ও শিল্পের কোনও জাত হয় না। তা ভৌগলিক সীমারেখাতেও আবদ্ধ থাকে না। শিল্প, শিক্ষা ও ক্রীড়ার জন্য বাংলার দ্বার সবসময় খোলা। দেশের শিল্পের আঁতুরঘর যে এ রাজ্যই সেকথা ভালভাবেই বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
[নয়া বিতর্কে ‘পদ্মাবতী’, ছবি মুক্তির প্রতিবাদে নাহারগড় দুর্গে ঝুলন্ত দেহ]
পদ্মাবতী নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কর্ণি সেনা, রাজপুতানা সংগঠন, সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভাদের তাণ্ডব তো চলছেই, সুপ্রিম কোর্টও বল সিবিএফসি-র দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু আবেদন পত্রে ত্রুটির অজুহাতে ছবিকে শংসাপত্র দিতে সাময়িকভাবে অস্বীকার করেছে প্রসূন জোশীর নেতৃত্বাধীন সংস্থা। বাধ্য হয়ে ছবির মুক্তি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দিতে হয়েছে। এই বিতর্কের জেরেই একাধিক রাজ্য ছবিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে। অনেকে সিবিএফসির অজুহাত দিয়ে দায় এড়িয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই ছবির পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। কিছুদিন আগেই তিনি টুইট মারফত জানিয়ে ছিলেন, একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। এটি ‘সুপার এমারজেন্সি’ পরিস্থিতি। সারা দেশের চলচ্চিত্র মহলের এক হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত বলে জানান তিনি।
[নয়া বিকিনি শুটে নেটদুনিয়ার উষ্ণতা বাড়ালেন দীপিকা]
শুক্রবার ফের সঞ্জয় ও তাঁর টিমের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে এদিনই ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাই কোর্টে। যা পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শংকরের ডিভিশন বেঞ্চ। ছবির বিরুদ্ধে আবেদনকারী অখণ্ড রাষ্ট্রবাদী পার্টির সদস্যদের আদালতে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়। ছবি না দেখেই কীভাবে তা নিষিদ্ধ করার আবেদন জানাতে পারে কোনও সংগঠন? এই প্রশ্নই তোলা হয়। একই সঙ্গে আবেদনকে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় আখ্যা দেওয়া হয়।
ছবির মুক্তি নিয়ে সমঝোতার রাস্তা কিছুটা হলেও খুলে দিয়েছে কর্ণি সেনাও। বুধবার সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেওয়ারের রাজ পরিবারের সদস্যরা যদি ছবি দেখে সন্তুষ্ট হন তাহলে সেনাও প্রতিবাদের পথ থেকে সরে আসবে। ছবি নির্বিঘ্নে মুক্তি পাবে। এমন অবস্থায় ছবির মুক্তি অনেকাংশেই নির্ভর করছে সিবিএফসির উপর। তবে তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক আশ্বাস কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাবে টিম ‘পদ্মাবতী’কে।
[কবে মুক্তি পাওয়া উচিত ‘পদ্মাবতী’র? কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র?]
The post অন্য রাজ্য ছবি নিষিদ্ধ করলে বাংলায় আসুন, ‘পদ্মাবতী’কে স্বাগত মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
