জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ঠাকুরনগর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। বিজেপির নিশানায় রাজ্যপুলিশের ভূমিকা। এদিকে তৃণমূল ও মমতাবালা ঠাকুরের নিশানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। জুতো পড়ে ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে প্রবেশ-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। এরই মাঝে বিজেপি কর্মীদের মারধর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। এদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে নিশানার পাশাপাশি আতঙ্কের কথা জানালেন মমতাবালা।

রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরবাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। একদিকে মমতাবালাপন্থী মতুয়া, অন্যদিকে শান্তনুপন্থী মতুয়াদের মধ্যে হাতাহাতি চরমে ওঠে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে জুতো পড়ে মন্দিরে প্রবেশ ও মহিলাদের হেনস্তা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে। এরপরই চাঁদপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল-বিজেপির ব্যাপক হাতাহাতিতে জখম হন বেশ কয়েকজন। পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। যার মধ্যে রয়েছে বিজেপির একাধিক কার্যকর্তা।
[আরও পড়ুন: লক্ষ টাকায় পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রির বাঁকুড়ায়! TMC নেতার বিরুদ্ধে ধরনায় দলেরই একাংশ]
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,ব্রাত্য বসু সুজিত বসুদের মদতে পুলিশ অনৈতিকভাবে মারধর করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তিনি। এদিকে সোমবার দুপুরে তৃণমূলের কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতাবালা ঠাকুর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এতবছরের ইতিহাসে এমন দৃশ্য দেখেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন, শান্তনু ঠাকুররা দিলেন পর দিন তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখান। যার ফলে আতঙ্কে কাটছে দিন।