সৈকত মাইতি, তমলুক: হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চলছে মাদকের কারবার। গাঁজা, ড্রাগের নেশায় বুদ স্থানীয় বাসিন্দা যুবকেরা। ঘটনার প্রতিবাদ করায় এবার এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) পাঁশকুড়ায় (Panskura)। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পলাতক অভিযুক্তরা।
স্থানীয়দের দাবি, পাঁশকুড়া পিতপূর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চলছে মাদকের ব্যবসা। এর জেরে এলাকা হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের আড্ডাখানা। অভিযোগ, গত ৫ বছর ধরে নিজের বাড়িতে মাদকের কারবার ফেঁদে বসেছেন এলাকার বাসিন্দা শেখ সানোয়ার ওরফে শানু এবং তাঁর পরিবার। রাত নামলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। পথ চলতি মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এমন পরিস্থিতিতে দিন দুই আগে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হন প্রতিবেশী যুবক রওশন খান ও তাঁর ভাই শের খান। মৌচাকে ঢিল পড়ায় তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে যুবকের রহস্যমৃত্যু, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হাওড়ার পাঁচলা]
মাদকের কারবার বন্ধের দাবি তুলে প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত সানোয়ার ও তাঁর পরিবারের লোকেরা শের খানকে বেধড়ক মারধর করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিন রাতেই শেরকে পিতপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। এর পর পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হন রওশন এবং তাঁর পরিবার। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া অভিযুক্তরা। রওশন অভিযোগ করেন, মাদকের কারবারের ফলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম বাড়ছে এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদ করতেই আমাদের উপর চড়াও হয় ওরা। আমাদের মারধরের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর করে। আতঙ্কে রয়েছি আমরা।
[আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও মেলেনি চাকরি! নবান্ন অভিযানে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চাকরিপ্রার্থীর]
যদিও পুলিশের দাবি, গাঁজা-সহ মাদকদ্রব্যের কারবার রুখতে জেলাজুড়েই লাগাতার পুলিশি অভিযান চলছে। এক্ষেত্রেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা অবশ্য বলছেন, পাঁশকুড়া থানায় এর আগেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে শেখ সানোয়ারকে। মুক্ত হয়েই ফের নিজের কাজ শুরু করে দেয় সে।