সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: গতিবিধি নজরে রাখতে হাতির করিডরের জঙ্গলের গাছে বসানো হয়েছিল বিশেষ ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে লাগাতেই বিপত্তি। শেষে যুবকের ঠাঁই হল থানায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঝাড়গ্রামে (Jhargram)।
ব্যাপারটা ঠিক কী? বন দপ্তর সূত্রে খবর, হাতির গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য ঝাড়গ্রামের জঙ্গলের বিভিন্ন গাছে বিশেষ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ওই ক্যামেরাতেই বনদপ্তর দাঁতালের গতিবিধি দেখতেন। এদিন বৃন্দাবনপুরের জঙ্গলে আমচকা এক যুবককে গাছে উঠে ক্যামেরা খুলতে দেখা যায়। অফিসে বসে সেই দৃশ্য দেখেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। স্বাভাবিকভাবেই যিনি ক্যামেরা খোলেন, তাঁকেও দেখা যায়। বনদপ্তরের তরফে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে জঙ্গল থেকে হাওয়া ওই যুবক।
[আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ার গোডাউন লক্ষ্য করে পর পর তিনটি বোমা, বিস্ফোরণে হাত উড়ল দুজনের]
জানা গিয়েছে, ওই যুবক বিশেষ ওই ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে লাগান নিজের বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তর অবস্থান টের পেয়ে যায়। এর পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, “হাতির দলকে সরাসরি ট্র্যাক করার জন্য বেশ কিছু ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেই ক্যামেরা চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যামেরায় ওই ব্যক্তির ছবি উঠেছিল। আমরা তা পুলিশকে পাঠাই। তার পরই গ্রেপ্তার করা হয়।” কিন্তু কেন এই চুরির ছক? কী বলছেন অভিযুক্ত? সূ্ত্রের খবর অভিযুক্ত দাবি করেছে, হাতি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসছে, সেই কারণেই ক্যামেরা খুলে বাড়িতে লাগানোর সিদ্ধান্ত!