বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানার আড়ংঘাটার হোসেনপুরে। ওই দম্পতির নাম যথাক্রমে উৎপল কুমার মণ্ডল এবং রাখী মণ্ডল। ঘটনাচক্রে, উৎপলবাবুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স ৩৮। স্ত্রী রাখীদেবী বর্তমানে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই দম্পতির মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। নিত্যদিন লেগে থাকত ঝামেলা, সাংসারিক কলহ। শেষ পর্যন্ত, সেই গণ্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে স্ত্রীর মাথার পেছনে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন স্বামী। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান ঘরের মেঝেতে। রক্তক্ষরণও হয় রাখীদেবীর মাথা থেকে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখে উৎপলবাবু ভাবেন, স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সেই ভেবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন স্বামী উৎপল নিজেও। এই ঘটনায় স্ত্রী শেষপর্যন্ত বেঁচে গেলেও মারা যান স্বামী।
[‘ঝগড়া নয়,আপন করে কাছে টেনে নিন’, কর্মিসভায় বার্তা মুনমুনের]
প্রসঙ্গত, উৎপল কুমার মণ্ডল সঙ্গে নয় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কোতোয়ালি থানার দিকনগরের বাসিন্দা রাখী মণ্ডল। তাদের সাত বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ইদানিং স্বামী উৎপল এবং স্ত্রী রাখীদেবীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না বাড়িতে থাকবার জায়গা নিয়ে। আসলে, তাদের বাড়িতে দুটো ঘর। ছেলেকে নিয়ে একটি ঘরে থাকেন রাখী মণ্ডল। পাশের অন্য ঘরটিতে থাকতেন উৎপলবাবু। আর বারান্দায় থাকেন রাখী মন্ডলের শ্বশুর-শাশুড়ি। জানা গিয়েছে, শনিবার রাখীদেবী শ্বশুর-শাশুড়িকে একটি ঘর ছেড়ে দিয়ে নিজের ঘরে স্বামীকে থাকতে বলেছিলেন। রবিবার ভোরে তা নিয়ে রাখীদেবীর তুমুল অশান্তি বাঁধে স্বামীর সঙ্গে। সেসময়ে আচমকাই উৎপল কুমার মণ্ডল স্ত্রীর মাথার পেছনে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। আর তারপরেই উৎপলবাবু ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন। বাড়ির লোকজন জানাজানি হলে দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে উৎপলবাবুকে দেখে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাখীদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাস সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বর্তমানে অবস্থা স্থিতিশীল। শুধুমাত্র ঘর নিয়েই অশান্তি বেঁধেছিল কিনা ওই দম্পতির মধ্যে নাকি, এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হবে।
[সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার পর চূড়ান্ত কংগ্রেসের প্রথম প্রার্থীতালিকা, নাম থাকছে দীপার]
The post দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী’কে আঘাত, তিনি বাঁচলেও আত্মঘাতী স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.
