নব্যেন্দু হাজরা: সকালের দিকে হালকা শিরশিরানি। রোজই মনে হচ্ছে, এই ঠান্ডা বোধ হয় পড়েই গেল। কিন্তু না। আপাতত শীত (Winter) পড়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, রাজ্য থেকে শীত এখন বহু দূরে। ভোরের দিকে ঠান্ডার আমেজ থাকলেও বেলা বাড়লেই ফের গরম লাগবে। তাপমাত্রাও বাড়বে। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি তাপমাত্রা আরেকটু কমবে। ফলে গায়ে চাদর জড়াতে হতে পারে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরিরও সম্ভাবনা রয়েছে। প্রভাব এরাজ্যে পড়ার তেমন সম্ভাবনা এখনই নেই। কোথাও কোনও ঝড়বৃষ্টি আপাতত হবে না।
[আরও পড়ুন: ছুটির সকালে মানিকতলায় আলমারি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা]
শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শীত শীত ভাব থাকছে শুধু ভোরের দিকে। রাতের দিকেও তাপমাত্রা খানিকটা নামছে। কলকাতাতে ২০ ডিগ্রির আশপাশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করলেও জেলাতে তা আরও কমছে। কোথাও কোথাও রাতের দিকে গরম জামাও গায়ে চড়াতে হচ্ছে। কলকাতায় ১৫ ডিগ্রিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামলে তবেই শীতের প্রবেশ বলে ধরা হয়। তা যে এখনই হচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
কলকাতায় শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৭ এবং সর্বনিম্ন ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রারও খুব একটা হেরফের হবে না। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। হালকা ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে। তবে শীত পড়ে যাবে তেমনটা নয়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘‘এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ভোরের দিকে কিছুটা ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়তেই গরম লাগবে। এখনই শীতের প্রবেশ হবে তেমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।’’