নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। শুক্রবার রাতে রেল লাইন ধরে ঝাড়খণ্ডের বারহারোয়া যাচ্ছিলেন তাঁরা। বীরভূমের নলহাটি স্টেশনের কাছে ব্রাহ্মণী সেতুর উপরে আচমকাই একটি ইন্সপেকশন ট্রেন চলে আসে। সেই সময় লাইন ধরে হাঁটছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারত অঘটন। তবে চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান সকলেই। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে নলহাটি পুরসভা।
রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কিন্তু ক্লান্তিই হল কাল। রেললাইনে মাথা রেখে দু’দণ্ড বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঘুমিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকা আসা মালগাড়ির চাকায় পিষে গিয়েছে ১৬টি প্রাণ। প্রাণহানি হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। সেই ঘটনা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্র নাকি রাজ্য সরকারের জন্য এহেন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার রাতে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারত বীরভূমের নলহাটি স্টেশনে। তবে চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
[আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে গ্যাস দুর্ঘটনার জের, বাংলা না ছুঁয়েই বিহার গেল শ্রমিক ট্রেন]
ঠিক কী ঘটেছিল নলহাটি স্টেশনে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে একদল পরিযায়ী শ্রমিক বর্ধমান থেকে কখনও রাস্তা দিয়ে আবার কখনও রেললাইন ধরে ঝাড়খণ্ডের বারহারোয়া যাচ্ছিলেন। সেই সময় নলহাটি স্টেশনের কাছে ব্রাহ্মণী সেতুর উপর দিয়ে একটি ইন্সপেকশন ট্রেন বিহারের পাকুড় রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। সেই লাইন দিয়েই যাচ্ছিলেন অন্তত ৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। চালক দূর থেকে দেখতে পান তাঁদের। তড়িঘড়ি ব্রেক কষে ট্রেনটি দাড় করিয়ে দেন তিনি। সেই ট্রেন থেকেই নলহাটি স্টেশন ম্যানেজারকে খবর দেওয়া হয়। এরপর রেল পুলিশ ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করে নলহাটি স্টেশনে নিয়ে যায়। রাতে তাঁদের খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করে নলহাটি পুরসভা।
[আরও পড়ুন: ভাইজাগে গ্যাস দুর্ঘটনার জের, হলদিয়ার শিল্পসংস্থাগুলিকে সতর্ক করলেন মন্ত্রী শুভেন্দু]
The post ঔরঙ্গাবাদ ঘটনার হাতছানি, চালকের চেষ্টায় বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পরিযায়ী শ্রমিকদের appeared first on Sangbad Pratidin.
