দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সাসপেন্ড করা হল ক্যানিংয়ে মহিলা হোমগার্ড খুনে অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্যের সিট। যার নেতৃত্বে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। ওইদিন সন্ধ্যায় কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় হোমগার্ড গুলজান পারভিন মোল্লার দেহ। জীবনতলা থানার উত্তর মৌখালী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দু’বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন পারভিনের বাবা রশিদ মোল্লা। তারপরই বাড়ির বড় মেয়ে গুলজানকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়। ক্যানিং থানায় পোস্টিং ছিল তাঁর। মেয়ের দেহ উদ্ধারের পরই পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে গুলজানকে। তাঁদের নিশানায় ছিলেন এসআই সায়ন ভট্টাচার্য। তাঁদের দাবি, গুলজানের সঙ্গে সায়নের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই এই ঘটনা। সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয় মৃতার পরিবারের তরফে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত।
অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে সায়ন ভট্টাচার্যকে। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে সিট। দ্রুতই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী তদন্তকারী। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
