নিরুফা খাতুন: তীব্র দাবদহে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলা। চলতি সপ্তাহটা এভাবেই কাটবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই সঙ্গে আরও জানানো হল, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। অর্থাৎ বর্ষা আসতে এখনও অন্তত দিন চারেক অপেক্ষা করতেই হবে দক্ষিণের বাসিন্দাদের।
শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের (Alipore Weather Report) আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলবে। উত্তরবঙ্গের মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে আগামী তিনদিন। পাশাপাশি কলকাতা-সহ একাধিক রাজ্যে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে।
[আরও পড়ুন: মনোনয়নে নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ’ পুলিশ, ভাঙড় ও বসিরহাট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]
তবে সপ্তাহ শেষ হতেই স্বস্তির মুখ দেখতে পারে দক্ষিণবঙ্গ বাসী। কারণ হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করার কথা দক্ষিণবঙ্গে। আগামী রবিবার থেকেই বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সোমবার থেকে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করবে। বুধবার থেকেই স্বস্তির আবহাওয়ার সাক্ষী থাকবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। বুধবারের মধ্যে হাঁসফাঁস গরম থেকে হয়তো মুক্তি পাওয়া যাবে।
এদিন তারকেশ্বরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দু’জনের। গুরতর আহত তিন। এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বৃষ্টির সঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাত ঘটে। সেই সময় মাঠে কৃষি কাজ করছিলেন সুরজিৎ চৌধুরী (২৯) ও সনৎ দাস (৪০)।দু’জনকেই তড়িঘড়ি তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বজ্রপাতে গুরতর আহত হন তারকেশ্বরের মির্জাপুর এলাকার অবিনাশ মান্না। তিনি তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে আরও চার-পাঁচদিন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু অংশে।
