কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: মাংসের দোকানে মশা-মাছি তাড়ানোর স্প্রে ব্যবহারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল৷ মাংস বিক্রেতাকে আটক দোকান সিল করে দিল পুলিশ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের বহমপুরে৷
[ মিষ্টি নিয়ে শাশুড়ির গঞ্জনা, অপমানে আত্মঘাতী জামাই]
বহরমপুর শহরের রানিবাগান মোড়ে পরপর চারটি মাংসের দোকান৷ বছর চারেক ধরে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা৷ শুক্রবার দুপুরে রানিবাগান মোড়ের মিঞা মিট শপ নামে একটি দোকানে ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ে৷ ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, দোকানে ঝোলানো খাসির মাংসে কিছু একটি স্প্রে করছেন মাংস বিক্রেতা নবাব শেখ৷ শোরগোল পড়ে যায় বহরমপুরে৷ শহরের রানিবাগান মোড়ের ওই দোকানে হানা দেয় পুলিশ ও পুরসভার কর্মীরা৷ জানা যায়, দোকানে আরশোলা মারা স্প্রে রাখেন নবাব৷ তাঁকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ৷ সিল করা দেওয়া হয়েছে মাংসের দোকানটিও৷ স্থানীয় কাউন্সিলর জয়ন্ত প্রামাণিক জানিয়েছেন, ওই মাংসের দোকানে বিষ তেল স্প্রে করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের দোকান থেকে বিষ তেলের স্প্রে পাওয়া গিয়েছে বলেই তার দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, খাবার দোকানে যদি কীটনাশক জাতীয় কোনও পদার্থ বা তরল রাখা হয়, তাহলে খাদ্যে বিষক্রিয়া সম্ভাবনা থাকে৷ তাই এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না৷
এদিকে বহরমপুরের রানিবাগান মোড়ের মাংস ব্যবসায়ী রিন্টু শেখের দাবি, মাছি বসলে কাঁচা মাংসে কখনই কীটনাশক দেওয়া হয় না৷ দোকানের মেঝে বিষ তেল দিয়ে পরিষ্কার করা হয় বটে৷ কিন্তু সেটা দোকান বন্ধ করার আগে করা হয়৷ বস্তুত মাংসে তো নয়ই, অভিযুক্ত নবাব শেখকে কখনও বিষ জাতীয় কিছু দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতেও দেখেননি বলে দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ী৷
[ শিলিগুড়ি পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে ধুন্ধুমার, বাঁশি বাজিয়ে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের]
The post কাঁচা মাংসে কীটনাশক স্প্রে! বহরমপুরে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী appeared first on Sangbad Pratidin.
