অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: লিলুয়ায় এক ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু! বাড়ির পাশের জলাশয়ের ধারের গাছ থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। এদিকে তাঁর বাড়িও আগুনে পুড়ে ছাই। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অরুণ রায়। তিনি লিলুয়া থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়ায় এলাকার বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তখনই তাঁরা দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি। আগুন নেভাতে জলাশয় থেকে বালতি করে জল আনা শুরু করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। দু'টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়িটি। তখনই জলাশয়ের ধারের একটি গাছ থেকে গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অরুণবাবুর স্ত্রী ও সন্তান ঠাকুরনগরে গিয়েছেন। বাড়িতে একাই ছিলেন অরুণবাবু। প্রতিবেশীদের মতে, প্রথমে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, তারপরই দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা। অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "বিকট শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। তা নেভানোর চেষ্টা করি। পরে অরুণ রায়ের দেহ উদ্ধার হয়।"
তবে প্রশ্ন উঠছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে গৃহকর্তা আত্মহত্যা করবেন কেন? নাকি অরুণবাবু নিজেই আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন? না কি তাঁকে খুন করে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে জগদীশপুর ফাঁড়ির পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।