বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: দাম্পত্য কলহে রক্তারক্তি কাণ্ড নদিয়ায়। স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামীও। বুধবার সকালে ওই দম্পতির সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ওই মহিলা। বাড়ি লাগোয়া গাছ থেকে ঝুলছেন তাঁর স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি ওই গৃহবধূ। তাঁর স্বামীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার চাতড়া এলাকায়।
[স্বাধীনতা দিবসে সুন্দরবনের ১০০০ পথশিশুকে খাবার বিলি রবিনহুড বাহিনীর]
আক্রান্ত গৃহবধূর নাম মিতা দেবনাথ। তাঁর স্বামী দীপক। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দেবনাথ পরিবারে প্রায়ই অশান্তি হত। রাতে কাজ থেকে ফিরলেই শুরু হত দাম্পত্য কলহ। এলাকার লোকজনের এসব গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই রাতে তুমল ঝগড়ার পর সব শান্ত হয়ে গেলেও কেউ তেমন গা করেননি। এদিকে দু’জনেই যে তখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তা কে জানত! বুধবার সকালে দেবনাথ বাড়ি থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। বাড়ির ভিতরে ঢুকে ডাকাডাকি করতে গিয়েই তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে মিতাদেবী। কিন্তু, বাড়িতে নেই দীপক। শেষপর্যন্ত, বাড়ি লাগোয়া একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় থানায়। আশঙ্কাজনক অবস্থা হাসপাতালে ভরতি মিতা দেবনাথ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাগের বশেই স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি দায়ের কোপ মারেন দীপক দেবনাথ। ভেবেছিলেন স্ত্রী মারা গিয়েছেন । এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে কী নিয়ে তাঁদের পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠেছিল, তা জানা যায়নি। এলাকায় শোকের ছায়া। তদন্তে পুলিশ।
