সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৈহাটির মামুদপুরের বাজি কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে আমডাঙা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নুর হোসেনকে। ধৃতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তকে। এদিকে, এদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করে খতিয়ে দেখা উচিত বলেই টুইটে দাবি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।
শুক্রবার দুপুর পৌনে বারোটা নাগাদ নৈহাটির দেবকের মামুদপুরে বাজি কারখানায় কাজ চলছিল। পাঁচ-ছ’জন বাজি কারখানায় কাজ করছিলেন। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বাড়ি ছেড়ে আতঙ্কে বেড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন জঙ্গলে ঘেরা এলাকার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তার জেরে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার এলাকা প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া দমকলে। খবর পাওয়ামাত্রই দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ওই কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও।
বেশ কয়েকঘণ্টা পর ওই বাজি কারখানার ভিতর থেকে মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা। অগ্নিদগ্ধ আরেকজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। নৈহাটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় মালিক নুর হোসেন। দুপুরের পর থেকে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। শুক্রবার রাতে আমডাঙা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। নুর হোসেনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবারই তাকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
[আরও পড়ুন: অঙ্গদান করলে আর লাশকাটা ঘরে ময়নাতদন্ত নয়, রাজ্যজুড়ে চালু অভিন্ন বিধি]
এদিকে, এই ঘটনাতে লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ঠিক কী ধরনে বিস্ফোরক ওই বাজি কারখানায় মজুত করা ছিল তা খতিয়ে দেখতে শনিবার ঘটনাস্থল যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, বাজি কারখানার বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
The post পুলিশের জালে নৈহাটির বাজি কারখানার মালিক, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি রাজ্যপালের appeared first on Sangbad Pratidin.
