অর্ণব দাস, বারাসত: অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে প্রাণনাশের হুমকি মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ। অশ্লীল ভাষায় ওই মেসেজে তাঁকে গালিগালাজও করা হয়। ওই মেসেজ পেয়ে উদ্বিগ্ন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ঘটনা বুধবার সকালের। ওইদিন তাঁর কাছে অপরিচিত নম্বর থেকে মেসেজ আসে। অশ্লীল ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় বিধায়ক তড়িঘড়ি নৈহাটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ আধিকারিকের পরামর্শমতো তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে যে অপরিচিত নম্বর থেকে মেসেজ পান সেটিও উল্লেখ করে দিয়েছেন বিধায়ক। শুধু থানাই নয়। বিধানসভার সচিবালয়েও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশের উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে বলেই জানান বিধায়ক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ঘটনার কিনারা করা হবে বলেই জানিয়েছেন নৈহাটি থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর থেকে প্রার্থী হন পার্থ ভৌমিক। বিপুল ভোটে জিতেও যান তিনি। সাংসদ হওয়ার পর পার্থবাবু নৈহাটির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই শূন্য আসনে তৃণমূল সনৎ দে-কে প্রার্থী হিসাবে বেছে নেয়। তাঁর সমর্থনে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন ময়দানের তিন ক্লাবের প্রধান। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কারণ, সেবারই প্রথম সরাসরি রাজনৈতিক প্রার্থীর হয়ে প্রচারে আঙুল উঠেছিল ক্লাবকর্তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সমস্ত বিতর্ক, সমালোচনা উড়িয়ে নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে সর্বকালীন সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে নির্বাচনী মার্কশিটে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের পাশে লেখা হয় ৬৩ শতাংশ। দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক থেকে এলাকার বিধায়ক সনৎ দে।
