সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ শাহজাহান মামলার সাক্ষী ভোলা ঘোষের গাড়ি দুর্ঘটনার মামলায় নয়া মোড়। ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অন্যদিকে এই ঘটনাতেই রুহুল কুদ্দুস শেখ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনাতে উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তের গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে তাহলে সত্যিই শাহজাহান মামলায় অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে?
রহস্যজনক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ভোলানাথ ঘোষ ইতিমধ্যে শাহজাহান-সহ তাঁর সহযোগী ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা যায়, উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তকে পোলেরহাট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একটি গোপন আস্তানা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ইডির উপরে হামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সুশান্ত। গ্রেপ্তার হলেও শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি। এরপর থেকেই পোলেরহাট এলাকায় সে আস্তানা গেড়েছিল বলে খবর। অন্যদিকে ন্যাজাট থানা এলাকার রাজবাড়ী এলাকা থেকে রুহুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ভোলানাথ ঘোষের দায়ের করা অভিযোগে ধৃত দুজনের নাম আছে কিনা তা জানা যায়নি। ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাক চালকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
বলে রাখা প্রয়োজন, সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআই যে মামলা করেছে, সেই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। বুধবার সকালে আদালতের একটি কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়িতে সঙ্গে ছিলেন ছোটো ছেলে ও চালক। ন্যাজোটের বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে ভোলানাথ ঘোষের গাড়ির একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অভিঘাত এতটাই ছিল যে দুর্ঘটনার পর রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভোলা ঘোষের ছেলে ও চালকের। ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান ভোলানাথ ঘোষ।
