সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একতার বার্তা দিয়েছেন। ইদের দিনেও সে কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, বাংলার মানুষ সংঘবদ্ধ। এই একতা কেউ চাইলেই ভাঙতে পারবে না।
[ সম্প্রীতির অনন্য নজির, কৃষ্ণ মন্দিরেই আয়োজন ইফতারের ]
সাম্প্রতিক অতীতে ধর্মীয় মেরুকরণ ও ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি মাথাচাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রায়শই। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও বিভিন্ন সভায় মমতা সাফ জানিয়েছিলেন, তিনি সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী। বাংলার মানুষ ধর্ম নিয়ে মাতামাতিতে নয়, বরং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিশ্বাস করে বলেই মত তাঁর। আর তাই তিনি যেমন দুর্গাপুজোয় অংশগ্রহণ করেন, তেমন ইফতারেও যোগ দেন। এ নিয়ে যে তাঁর কোনও দ্বিধা নেই তা জানাতে কসুর করেননি। যত মত তত পথ- এই অনুশীলনই দেশের ঐতিহ্য বলে বিশ্বাস করেন তিনি। সে বার্তাই বরাবর দিয়ে এসেছেন। এদিন রেড রোডে ইদ উদযাপনে অংশ নিয়েও সম্প্রীতি ও একতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, “বাংলার মানুষ সকলে একজোট হয়ে থাকে। কেউ চাইলেই সে একতা ভাঙতে পারবে না।” তাঁর এই বার্তার মধ্যেই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রত্যেক মানুষ প্রত্যেকের পাশে এসে দাঁড়াবে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জন্য লড়াই করবে। এটাই একতা। এটাই সম্প্রীতি। ইদ উপলক্ষে তাই ভেদাভেদ ভুলে বাংলার মানুষকে সংঘবদ্ধ হওয়ারই ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সফর থেকে ফিরেছেন তিনি। এর মধ্যেই রাজ্যের ঝুলিতে এসেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বলা ভাল, তা অর্জন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তাঁর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে। জনসেবার নিরিখে সরকারি প্রকল্পে ষাটটিরও বেশি দেশকে হারিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প। এই স্বীকৃতিকে সামনে রেখেই রাজ্যের উন্নয়নের মুখটি তুলে ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি যাতে মাথাচাড়া না দিয়ে ওঠে, সে দিকটিতেও নজর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একতা ও সংহতির ডাক দিয়েই সম্প্রীতির বার্তাটি দিয়ে রাখলেন তিনি।
The post বাংলার একতা কেউ ভাঙতে পারবে না, ইদে বার্তা মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.
