নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজত শেষের পর তাঁকে ফের দুবরাজপুর আদালতে পেশ করার আগে এমনই অভিযোগ পুলিশের। সেই কারণে এদিন তাঁকে ফের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে চলেছেন দুবরাজপুর থানার তদন্তকারীরা। এদিন সকালে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতির স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামীণ হাসপাতালে। তিনি আপাতত সুস্থ। দুপুরের পর আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর।
দুবরাজপুরের (Dubrajpur) তৃণমূল নেতা, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে নতুন করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে দুবরাজপুর থানায়। আর সেই মামলাতেই ইডির হেফাজতে দিল্লি যাওয়া থেকে আপাতত স্বস্তি মিলেছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির। গত সপ্তাহে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে শিবঠাকুর মণ্ডল নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই হেফাজতে আসানসোল জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর থানার লকআপে নিয়ে আসা হয়। ৭ দিন তিনি এখানেই ছিলেন। মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশ।
[আরও পড়ুন: অফিস টাইমে দমদমগামী মেট্রোয় যান্ত্রিক সমস্যা, আপ লাইনে আংশিকভাবে ব্যাহত পরিষেবা]
সাতদিনে এই মামলার কী অগ্রগতি, সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে তিনি সহযোগিতা করেননি। কোনও প্রশ্নেরই ঠিকমত উত্তর দেননি। কিছু কিছু বিষয় মনে পড়ছে না বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে আবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান দুবরাজপুর থানার তদন্তকারীরা। এদিকে, অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডল লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, পার্টি অফিসে নিজের নিরাপত্তরক্ষীর সামনেই তাঁর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেন। কিন্তু সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়ে তিনি মনেই করতে পারছিলেন না যে কোন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন সেসময়। ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: চার বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগে দিল্লিতে গ্রেপ্তার যুবক]
এদিন দুবরাজপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ফের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় দুবরাজপুর জেলে। দুপুরের পর তাঁকে পেশ করা হবে আদালতে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ, অনুব্রতকে ছাড়াতে এবার তৃণমূল তৎপর হবে। তাতে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”শুভেন্দু কে রক্ষা করতে বিজেপি তৎপর কেন? নারদ মামলায় তাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি যদি তৎপর হয় তাকে আটকে রাখতে তাদের মুখেই আবার বড় বড় কথা চলে নাকি?”