পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ১০০ দিনের কাজে পছন্দের লোককে ঢোকাতে পারছিলেন না। সেই ক্ষোভে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে হেনস্তা। জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল নদিয়ার বীরপুর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। খাস পঞ্চায়েত অফিসে এই নিগ্রহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় নির্মাণ সহায়করা। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে তাঁরা নাকাশিপাড়া বিডিওর দ্বারস্থ হন। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বিডিও ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
[নবান্ন যাওয়ার পথে আচমকা এসএসকেএম পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী]
সম্প্রতি নাকাশিপাড়ার বীরপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় খাল সংস্কারের কাজ শেষ হয়। বীরপুরের মিঁয়াপাড়ার ২ নম্বর সংসদ এলাকায় কাজটি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। প্রকল্পের জন্য খরচ হয় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সময় লাগে ১৫ দিন। গত শুক্রবার স্থানীয় এক সুপারভাইজার ১৮০ টাকা শ্রমিকের মজুরি দেখিয়ে মাস্টাররোল জমা দিয়েছিলেন। সোমবার ঘটনাস্থলে যান নির্মাণ সহায়ক দেবরঞ্জন পাল। ফিরে এসে তিনি সুপারভাইজারকে জানান, কাজের যা মান তাতে কোনও ভাবেই অত টাকা হওয়া সম্ভব নয়। খুব বেশি হলে ২০ থেকে ৫০ টাকা মজুরি হতে পারে। এই খবর কানে যেতে ক্ষুব্ধ হন মুজিব রহমান মোল্লা নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা রূপসী বিবি মোল্লার স্বামী হিসাবে পরিচিত। কাজটা হাতছাড়া হচ্ছে বুঝতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে মুজিব দলবল নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হন। অভিযোগ, নির্মাণ সহায়ক দেবরঞ্জন পালকে ব্যাপক মারধর করা হয়। দেবরঞ্জনবাবুর চশমার কাচ ভেঙে যায়। মারধরের পাশাপাশি নির্মাণ সহায়ককে জুতোপেটা করা হয়। ঘটনার পরই বিষয়টি মৌখিক ভাবে বিডিওকে জানান দেবরঞ্জন পাল। বুধবার দুপুরে দেবরঞ্জনবাবুর মতো আরও ১৫জন নির্মাণ সহায়ক নাকাশিপাড়ার বিডিও-র সঙ্গে দেখা করেন। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে তাঁরা সরব হন। বিডিও সমর দত্ত বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছেও জানতে চেয়েছেন। বিডিও জানান, তাঁর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার এস ঝাঝোরিয়া জানিয়েছেন তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছ। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আঙুল, সেই মুজিবর রহমান মোল্লার অশান্তির কথা মানলেও তাঁর দাবি, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
